ঘুম যাদের কম হয় তাদের অস্বস্তির শেষ নেই। দিনভর ক্লান্তি ও অবসাদ গ্রাস করে রাখে। দুশ্চিন্তা ও জীবন পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।
ঘুম কম হওয়ার অন্যতম কারণ অধিক সময় ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা, যা মস্তিষ্কে ঘুম আসার কেমিক্যাল বের হতে বাধা দেয়। ঘুম আসছে না ভেবে ফোন হাতে নিয়ে একটু ফেসবুক দেখি তো করে করে আসলে ঘুম না আসার সময়কে বাড়িয়ে দেন।
স্লো নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস
* বিছানার প্রান্তে রিলাক্স হয়ে বসে ধীরে ধীরে পাঁচ সেকেন্ড নিঃশ্বাস নিন।
* দুই সেকেন্ড সেটা ধরে রাখুন।
* পরের পাঁচ সেকেন্ডে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন।
* দশ সেকেন্ড পরপর পাঁচ মিনিট এমন করে স্লো নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়ুন।
এভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিলে শরীরে এটি কীভাবে কাজ করে!
সারাদিনে ব্যস্ত থাকলে আমাদের শরীরের নার্ভ, হরমোন এবং মাসলগুলো সবসময় টেন্স থাকে, এক্টিভ থাকে, রিলাক্স থাকে না। যাকে সহজ ভাষায় বলে ফাইট অথবা ফ্লাইট কন্ডিশন। এমন স্লো রিলাক্সিং ব্রেথ শরীরের প্যারাসিম্পেথেটিক নার্ভ এক্টিভিটি স্টিমুলেট করে। এটার কাজ শরীরের অঙ্গগুলোকে বার্তা দেওয়া যে, এখন রেস্টিং সময়, তোমাদের কাজ কমিয়ে দাও। শরীর এ বার্তা পেলে তার ইন্টেন্স এক্টিভিটির রা শ টেনে ধরে। শরীর রিলাক্স করতে শুরু করে এবং মস্তিষ্কের এক্টিভিটি কমে গিয়ে ঘুম আনায়।
লিখেছেন ডা. অপূর্ব চৌধুরী।