একজন নারীর জন্য এই সময়টা খুব সংবেদনশীল। গর্ভবতী মাকে প্রতিটি পদক্ষেপে সচেতন থাকতে হয়। এই সময় অনেক খাবারও খেতে হয় বুঝেশুনে। তবে গর্ভাবস্থায় কফি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়।
গবেষণা বলছে, দিনে ২ কাপের বেশি কফি খেলে শরীরে অস্বস্তি, নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। তবে গর্ভবতী নারীর জন্য বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তাদের জন্য দিনে দু-কাপ কফি ক্ষতিকর হতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এসময় একেবারেই কফি খাওয়া যাবে না। কারণ কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন অনাগত সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। এমনিতেই খুব বেশি ক্যাফেইন শরীরের জন্য ভালো নয়। তার ওপর গর্ভবতী নারীদের আরও একটু সাবধান থাকতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, গর্ভাবস্থায় কফি খেলে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এছাড়া সন্তানের ওজন কম থাকা, সন্তানের অতিরিক্ত ওজন, শিশুকালীন লিউকোমিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কফি এবং ক্যাফেইন সমৃদ্ধ সব রকম পানীয় গর্ভবতী নারীর এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কফি ছাডাও ক্যাফেইন আছে, চকোলেট এবং চায়ের মধ্যে। তবে কফির তুলনায় চায়ের মধ্যে ক্যাফেইনের পরিমাণ অনেকটাই কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে যে গর্ভবতী নারীর ক্যাফেইন গ্রহণ করলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
কফি ছাড়াও যে সব সাধারণ খাবার এবং পানীয়ে ক্যাফেইন থাকে এবং গর্ভবতী নারীর এড়িয়ে চলা উচিত, বা গর্ভাবস্থায় খুব কম পরিমাণে খাওয়া উচিত, তার মধ্যে আছে –
সোডা
গ্রিন টি/ ব্ল্যাক টি
এনার্জি ড্রিঙ্ক
চকোলেট
সাপ্লিমেন্ট
গুয়ারানা
চকলেটযুক্ত বেকড প্রোডাক্ট
কফি লিকার
পীনাট বাটার বার
গর্ভবতী নারীর জন্য ক্যাফেইন খারাপ, একথা বলার পেছনে প্রধান কারণ সাধারণভাবে বলতে গেলে, কফির ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন বাড়ায়, শরীরে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং উদ্বেগও বাড়াতে পারে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ক্যাফেইনের বিপাক খুবই ধীর গতিতে হওয়ার ফলে, ক্যাফেইন রক্তে বেশিক্ষণ থাকে।