বিশেষজ্ঞরা বলছেন গর্ভাবস্থায় ৭০ ভাগ ব্রেন ডেভেলপমেন্ট হয়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় খাবারদাবার যদি ঠিকমতো না হয়, তাহলে সেই শিশুর ব্রেনের যে সিচুয়েশন, সেটার জন্য অনেকটাই দায়ী থাকেন মা। তাই গর্ভাবস্থায় মাকে সঠিক খাবার খেতে হবে।
গর্ভাবস্থাকে তিনটা ট্রাইমেস্টারে ভাগ করা হয়। প্রথম ট্রাইমেস্টার মানে প্রথম তিন মাস। পরের ট্রাইমেস্টার মানে পরের তিন মাস এবং ডেলিভারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তৃতীয় ট্রাইমেস্টার বলা হয়। প্রত্যেক ট্রাইমেস্টারে খাবারের চাহিদা আলাদা।
গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্য তালিকায় বিশেষ বিশেষ ক্যাটাগরির খাবার থাকলে গর্ভস্থ শিশুর সঠিকভাবে বিকাশ হয়। সেসব খাবারের মধ্যে রয়েছে যেগুলো তা জেনে নেয়া যাক-
১. এসময় হবু মাকে খেতে হবে মাংস, মাছ, ডিম, বিনস, পাঁচমিশালি ডাল, সিড। এগুলো নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হবে।
২. আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের খুব দরকার মস্তিষ্ক গঠনে। তাই কলা, শুকনো ফল, শাকসবজি খেতে হবে বেশি বেশি। গর্ভধারণের শুরু থেকে এই ক্যাটাগরির খাবার খেলে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ ও বুদ্ধিমত্তা বাড়বে।
৩. গর্ভধারণের চার মাস থেকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় বেশি রাখতে হবে। যেমন- কুমড়ার বিচি বা সূর্যমুখীর বিচি, সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল ও কড লিভার ওয়েলে প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে।
৪. কোলিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। ডিমের কুসুমে প্রচুর কোলিন রয়েছে। গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কোলিনের বিকল্প নেই।
৫. এছাড়া পনির, গরুর মাংস, কলিজা—এই জাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। এ জন্য গর্ভবতী মাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত সূর্যের আলোয়ও কিছু সময় করে থাকতে হবে।