মানসিক চাপ, ক্লান্তি, বিষণ্ণতা, হতাশা বা ঘুমের অভাবের কারণে চোখের আশেপাশের ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে। আর দীর্ঘ দিনের ক্লান্তি, পরিশ্রমের ছাপ কোনও প্রসাধনীর ব্যবহারেই দূর করা যায় না।
চোখের এই কালো দাগ দূর করতে অনেকেই পার্লারে অনেক টাকা খরচ করে ফেলেন। তবে পার্লারে না গিয়ে বরং কয়েকটি খাবারেই দূর হবে চোখের নিচের কালো দাগ।
নিয়মিত ঘুম ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিয়ম করে কয়েকটি খাবার খেলে খুব দ্রুতই সুফল পাবেন।
টমেটো
অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর টমেটো ভেতর থেকে ত্বকের খেয়াল রাখে। রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে, ফলে কোথাও রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ত্বকও ভেতর থেকে সু্স্থ এবং সতেজ থাকে। শত পরিশ্রমেও যাতে চোখের নীচে কালি পড়তে না পারে, তার জন্য টমেটো খেতে হবে বেশি করে।
শসা
শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল বা পানি। ত্বক আর্দ্রতা হারালেই সাধারণত নানা দাগছোপ দেখা দিতে শুরু করে। তাই ত্বক যাতে সু্স্থ এবং সতেজ থাকে, তার জন্য শসা খেতে পারেন। সাকাদ হোক কিংবা রান্নায়, নিয়ম করে যদি শসা খেতে পারেন, চোখের নীচে সহজে দাগছোপ পড়বে না।
কাঠবাদাম
ওজন কমায় তো বটেই, সেই সঙ্গে চোখের নীচের দাগছোপ প্রতিরোধেও কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ত্বকে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায়। ব্রণ, র্যাশের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতেও কাঠবাদাম সত্যিই উপকারী।
সবুজ শাকসবজি
ব্রকোলি, ঝিঙে, পটল, কাঁচা পেঁপে— সবুজ শাকসবজিতে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণের অভাব নেই। শাকসবজি খেলে শরীর ভাল থাকে তো বটেই, ত্বকের যত্নেও সবজি খাওয়ার কোনও বিকল্প হয় না। সবুজ শাকসবজি যত বেশি খাবেন, ত্বকের স্বাস্থ্য তত ভাল থাকবে। চোখের নীচের দাগছোপ থেকে ব্রণ— ত্বক সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে সবজিতে।
ব্লু বেরি
বেরি-জাতীয় সমস্ত ফলে রয়েছে ভিটামিন কে, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি, ওমেগা ৩-এর মতো উপাদান। এগুলি ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে চোখের নীচের দাগছোপ আটকাতে ব্লু বেরি সত্যিই কার্যকরী।