বাইশ বছর হতে চললো বাংলাদেশ টেষ্টস্টাটাস অর্জন করেছে। এখনো টেষ্ট খেলতে গেলে ৩৫/৪০ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট নাই। ওয়ানডে মোটামুটি ভালো খেললেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় বড় দলের সাথে শেষদিকে এসে দুই তিন রানে হেরে যাচ্ছি। একটা সময় বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতো অস্থিরভাবে। শুরুতেই ব্যাটাররা হিসাব নিকাশ ছাড়াই আট দশ বলে ধুম ধাড়াক্কা মেরে আউট হয়ে যেত। এক দুইজন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান চার ছক্কা মারতো বটে কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারতো না। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্রিকেট দুনিয়ায় চালু হলো টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট। মাত্র বিশ ওভারের খেলা। এই খেলা দেখে বাংলাদেশী ভক্ত-সমর্থকেরা ভাবলো- আরে, এটাই তো আমাদের খেলা। আমাদের দল যেহেতু বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারে না, সেক্ষেত্রে এই খেলায় তো আমাদের জন্য পারফেক্ট। ব্যাটাররা ক্রিজে আসবে আর হুটহাট কয়েকটা চার ছয় মেরে আউট হয়ে যাবে, তারপর আবার আরেকজন এসে শুরু করবে ধুমধাম মার…ব্যাস। আমরাই জিতে যাবো। কিন্তু আমাদের ক্রিকেটাররা দর্শকদের সমস্ত ভাবনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে টি-টুয়েন্টি খেলাটাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেল, যেখানে কেবল পরাজয় আর পরাজয় ছাড়া আর কোনো গল্প নেই। এমন কি জিম্বাবুয়ের সাথেও সিরিজ হারা শুরু করে দিলো। এছাড়া পরাজয়ের তালিকায় আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, হংকং এর মতো দেশও রয়েছে। খেলায় জয় পরাজয় থাকে এবং যেকোনো দলের সাথেই যেকোনো দল হেরে যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে যেভাবে ভেঙে পড়ে তাতে মনে হয় এরা বুঝি খেলার হিসাব নিকাশটায় বোঝে না। অথচ আমাদের দলে প্রতিভার কমতি নেই, বোর্ডের টাকা পয়সার অভাব নেই..তাহলে সমস্যাটা কোথায় ? কেন তারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এই ব্যর্থতা খুঁজতে গিয়ে নানারকম বিশ্লেষণ উঠে আসছে। তবে ক্রিকেটের অবকাঠামোর বাইরে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, সেটা হলো শারীরিক ফিটনেস। প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য শারিরীক ফিটনেসটাই সবচেয়ে জরুরী। যে কারণে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট লোকেরা প্রায়ই বলে থাকেন- আমদের খেলোয়াড়দের চক্কা মারার সক্ষমতা কম। যদিও এই বিষয়টি অনেক ম্যাচেয় পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া ফিটনেস দূর্বলতার কারণে অন্যান্য দেশের প্লেয়াররা যেখানে দৌড়ে দুই রান সংগ্রহ করতে পারে সেখানে আমাদের খেলোয়াড়েরা নেয় এক রান। তাই ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।