আপনি সরকারি-বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করুন না কেন, মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় কম-বেশি সবাইকে। এর প্রভাব পড়ে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর।
শারীরিক অন্যান্য জটিলতার মতো মানসিক সমস্যা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকে। কিন্তু এই চাপ বাড়তে থাকলে প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনে। বাড়তে থাকে অনিদ্রাজনিত সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কিছু অভ্যাসের উপর।
প্রতিদিনের রুটিনে কী কী পরিবর্তন আনলে মানসিক চাপ কমানো যায়?
মনোবিজ্ঞানিরা বলছেন, মানসিক চাপ, উদ্বেগহীন জীবন চাইলেও বর্তমান কর্মক্ষেত্রে তা মেনে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সু্স্থ থাকতে নিয়মিত ধ্যান বা ব্যায়াম করলে মিলবে উপকার। পছন্দের গান শোনা ও বই পড়া এ ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। চাপমুক্ত সুন্দর একটি সকাল শুরু করতে গেলে আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। তাই সুস্থ থাকতে রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেলা বাড়তে শুরু করলে নানা দিক থেকে বিভিন্ন রকম চিন্তা এসে ভিড় করে মাথায়। সেই সময়ে কাজে মন বসানোও মুশকিল হয় পড়ে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটানা কাজ না করে মাঝেমাঝে বিরতি নেওয়ার অভ্যাস করলে যে কোনও কাজই ফলপ্রসূ হতে পারে। বেশির ভাগ মানুষই সাধারণত সকালে শরীরচর্চা করেন। তবে নিশ্চিন্তের ঘুম আনতে সামান্য কিছু শরীরচর্চা রাতে ঘুমোনোর আগেও করে নেওয়া যায়। তবে দীর্ঘ দিন ধরে যদি অনিদ্রাজনিত সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।






