ফলস লেবার পেইন কী?

0
288

গর্ভাবস্থায় সবসময় একটা চিন্তার মধ্যে দিয়েই যেতে হয়। কখন বুঝি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে! শেষের দিকে এই চিন্তা আরও বেড়ে যায়। পেটে ব্যথা বাড়লে আমরা বুঝতে পারি না ভাবি বোধহয় এটিই লেবার পেইন বা প্রসব বেদনা। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই পেইন আমাদের বোকা বানায় ফলস পেইনের মাধ্যমে। কিন্তু কী এই ফলস প্রসব বেদনা।

আলোক হসপিটালের চিকিৎসক রুমা তিনি তার ফেসবুক পেজে ফলস পেইন নিয়ে কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন, ‘এটি একধরনের জরায়ুর সংকোচন যা সাধারণত গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় মাসে অনুভূত হয়। ব্র্যাক্সটন-হিক্সের সংকোচন হল প্রকৃত প্রসবের জন্য শরীরের প্রস্তুতির অংশবিশেষ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফলস পেইনের সময় আপনার পেট জুড়ে পেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার মত অনুভূত হয় এবং সংকোচনের সময় আপনি যদি আপনার পেটে হাত রাখেন, আপনি সম্ভবত আপনার জরায়ু শক্ত হয়ে যাচ্ছে অনুভব করতে পারবেন।’

এই ব্যথা প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মত স্থায়ী হয়। যদি গর্ভাবস্থায় ২য় বা ৩য় মাসে পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি স্বল্পসময়ের মধ্য সহজে চলে যায়, তবে তা সম্ভবত ব্র্যাক্সটন হিকস সংকোচন।

ফলস পেইনের লক্ষণ-

১. ফলস পেইন হলে আপনার জরায়ুর সার্ভিক্স পাতলা হবে না এবং জরায়ুর মুখ খুলবে না।
২. সাধারণত প্রায় ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
৩. অস্বস্তিকর হতে পারে, কিন্তু সাধারণত বেদনাদায়ক হয় না।
৪. অনিয়মিত সময়ে আসা-যাওয়া করে।
৫. সাধারণত ঘণ্টায় একবার বা দুইবার বেশি হয় না (গর্ভাবস্থার শেষ পর্যন্ত)। দিনে কয়েকবার পর্যন্ত হতে পারে।
৬. আপনি যদি আপনার অবস্থান পরিবর্তন করেন বা যে কাজ করছিলেন তা যদি বন্ধ করে দেন অথবা হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে এটি চলে যায়।

প্রকৃত পেইনের লক্ষণ
১. সংকোচনের সাথে আপনার সার্ভিক্স পাতলা হবে এবং জরায়ুর মুখ খুলতে শুরু করবে।
২. প্রতিটি সংকোচন প্রায় ৩০ থেকে ৭০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
৩. সময়ে সাথে সাথে এটি ঘন ঘন হতে থাকে।
৪. হাঁটাহাঁটি করলে ব্যথা বেশি হয়।
৫. সময়ের সাথে সাথে সংকোচন শক্তিশালী হয়ে থাকে।

ফলস পেইন অবশ্য স্বাভাবিক ব্যাপার এজন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে আপনি যদি অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে এই কাজগুলো করতে পারেন-
১. শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন।
২. কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
৩. হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।