এইচএমপিভি থেকে বাঁচতে যে ৭ কাজ করবেন

0
148

হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল, এটি আবারও হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এইচএমপিভি সব বয়সের গোষ্ঠীকে সংক্রামিত করে, তাই এর বিস্তার সীমিত করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। এইচএমপিভি মূলত শ্বাসযন্ত্রের ফোঁটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাই স্বাস্থ্যবিধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইচএমপিভির বিস্তার রোধে এই বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি-

১. হাত পরিষ্কার রাখা

কোভিড-১৯ আমাদের কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়ার শিক্ষা দিয়েছে। যেকোনো ভাইরাসের বিস্তার কমাতে হাতের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, ভালোভাবে এবং ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন। সাবান ও পানি না থাকলে অ্যালকোহল-বেইজড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। এছাড়াও অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।

২. মাস্ক পরা

মাস্ক পরা ভাইরাস ছড়ানো উল্লেখযোগ্যভাবে রোধ করতে পারে। নিশ্চিত করুন যেন মাস্কটি আপনার নাক এবং মুখ ঢেকে রাখে এবং কাশি বা হাঁচি দেওয়া ব্যক্তির থেকে আপনি দূরে থাকেন।

৩. রেসপিরেটরি ম্যানার্স

যদি আপনার কাশি বা হাঁচি হয়, তাহলে টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন। ব্যবহৃত টিস্যুগুলো দ্রুত কোনো বন্ধ বিনে ফেলে দিন এবং পরে হাত স্যানিটাইজ করুন।

৪. বারবার স্পর্শ করা হয় এমন জিনিসগুলো পরিষ্কার করুন

দরজার হাতল, আলোর সুইচ, স্মার্টফোন এবং কীবোর্ডের মতো বারবার স্পর্শ করা জিনিসগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন। সঠিক জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন যাতে ভাইরাস ভালোভাবে দূর হয়।

৫. অসুস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন

যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার লক্ষণ থাকে, তাহলে সম্ভাব্য সংস্পর্শ এড়াতে দূরে থাকুন। এইচএমপিভির কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে বলুন।

৬. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন

যদি আপনি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করেন, তাহলে কাজ বা স্কুল বা জনসাধারণের স্থান থেকে দূরে থাকুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা সেবা নিন এবং আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখুন

তিনটি জিনিস- তাজা ফল, শাক-সবজি এবং হোল গ্রেইনসহ সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত তরল এবং সক্রিয় থাকা- আপনার যেকোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে কম রাখবে। তাই সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকবে।