জ্বরঠোসা কি জ্বরের কারণে হয়?

0
165

জ্বরঠোসার কারণ হিসেবে আমরা সবাই জানি রাতে রাতে জ্বর এলেই জ্বরঠোসা হয়। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে জ্বরঠোসা হলেই জ্বর আসে। এটি একটি ইনফেকশন। আর এই কারণে জ্বর আসে।
ঠোটের কোণায় কিংবা বর্ডারে একগুচ্ছ ফুসকুড়ি ওঠে। সাধারণভাবে আমরা একে বলে থাকি জ্বরঠোস, জ্বর-ঠোসা বা জ্বরঠুঁটো। এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ফিভার ব্লিস্টার বলা হয়। এটি প্রকাশ পাবার ২-৩ দিনের মধ্যে ব্লিস্টারে ব্যথা অনুভব হলে তখন একে বলা হয় কোল্ড সোর।

কেন হয়?

সাধারণভাবে আমরা মনে করি জ্বর আসার লক্ষণ হিসেবে এই ফুসকুড়ি উঠেছে। আসলে তা নয়। ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে HSV-1 ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের কারণেই জ্বর আসে! তবে হ্যাঁ, জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে যদি সেই জ্বর অন্যকোন ইনফেকশনের কারণে হয় যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।

কাদের বেশি হয়
প্রায় ৮০% মানুষই HSV-1 এ আক্রান্ত থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগই সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং দশ বছর বয়সে প্রথম প্রকাশ পায়। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাবার পর HSV-1 স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে এবং জীবনে বারবার এর প্রকাশ ঘটে।

কোন কারণগুলোর জন্য ফিভার ব্লিস্টার আবার হতে পারে-
১. কোন ইনফেকশন থাকলে।
২. মানসিক চাপ।
৩. মেয়েদের মাসিকের সময়।
৪. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি।

সাধারণভাবে ৭-১৪ দিন উপসর্গ বর্তমান থাকলেও ৮-১০ দিনের মধ্যে মধ্যে ফিভার ব্লিস্টার এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে প্রথম সপ্তাহে অ্যান্টি-ভাইরাল জেল লাগালে আরোগ্যে দ্রুত হয়।

তবে ১৪ দিনের বেশি সময় ব্যথাযুক্ত ফিভার ব্লিস্টার থেকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। খালি চোখে দেখেই ফিভার ব্লিস্টার সনাক্ত করা সম্ভব। তবে ব্লিস্টারের ভিতরের তরল থেকে ডিরেক্ট ইমিউনোফ্লুরোসেন্স টেস্ট বা পলিমারেজ চেইন রিএ্যাকশনের মাধ্যমে ভাইরাস সনাক্ত করা যেতে পারে।

প্রতিরোধ করতে-
১. ব্যবহৃত পানির গ্লাস, চামচ, লিপস্টিকসহ অন্যান্য কসমেটিক্স কারও শেয়ার না করা।
২. ছোটদের চুমু না দেয়া।
৩. ব্লিস্টার স্পর্শ করলে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলা।
৪. মানসিক চাপ মুক্ত থাকা।
৫. সানস্ক্রিন ক্রিম, লিপ-বাম ব্যবহার করা।
৬. পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।