খাবারের ক্ষেত্রে সবাই সমান সচেতন হন না। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার সঠিকভাবে খাওয়া হয় না বেশিরভাগেরই। এর ফলে বাড়ে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা। কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার। এক্ষেত্রে শুরুতেই আসে দুধের নাম। নিয়মিত দুধ পান করলে তা শরীরে অনেক ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে কাজ করে। এটি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখা প্রয়োজন। অনেকে গরম দুধ খেতে পছন্দ করে, অনেকে ঠান্ডা দুধ। কোনটি শরীরের জন্য উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
গরম দুধ পান করার একটি ভালো দিক হলো এটি খুব সহজে হজম করা যায়। আর আপনার যদি ল্যাকটোজ জাতীয় খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয় তাহলে কখনো ঠান্ডা দুধ খাবেন না। এক্ষেত্রে সব সময় গরম দুধ বেছে নেবেন। এতে সমস্যা হবে না।
যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে তারা নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে উপকার পাবেন। দুধে থাকে ট্রিপটোফ্যান নামে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিড ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে। যে কারণে দূর হয় স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা।
নিয়মিত ঠান্ডা দুধ পান করার অভ্যাস পেটের অম্লতা বা অ্যাসিডিটি জনিত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী। খাওয়ার পর যদি আধ গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করেন তাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ঠান্ডা দুধ পান করবেন। এতে উপকার পাবেন দ্রুতই।
ঠান্ডা দুধ আমাদের শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে কাজ করে। তাই গরমের সময়ে নিয়মিত ঠান্ডা দুধ পান করলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হবে না। সেইসঙ্গে সকালে খালি পেটে ঠান্ডা দুধ পান করলেও পাবেন অনেক উপকার। তবে যাদের যদি সর্দি বা ফ্লুয়ের সমস্যা রয়েছে তারা ঠান্ডা দুধের বদলে গরম দুধ পান করবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব বেশি গরম দুধ এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে পান করতে পারেন হালকা গরম দুধ। কারণ খুব বেশি গরম দুধ পান করলে তা পেটের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে না চাইলে হালকা গরম দুধ বা ঠান্ডা দুধ বেছে নিতে হবে।