সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুরু হয় সারা দিনের কর্মযুদ্ধ। আর তাই সারা দিনের কর্মশক্তিও পুঁজি করে নিতে হবে সকালেই।
কীভাবে? জেনে নিন:
পানি পান
দিনে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করার প্রয়োজনীয়তা কমবেশি আমরা সবাই জানি। সকালে ঘুম ভাঙার পরই সবার আগে খালি পেটে পানি পান করুন। কারণ, আপনার এ ছোট্ট পদক্ষেপ আপনাকে নানা ধরনের শারীরিক ব্যথা, অ্যাজমা এমনকি ক্যান্সারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
প্রার্থনা
স্নিগ্ধ একটি সকালের শুরু যদি যার যার ধর্মের প্রার্থনার মাধ্যমে হয় তাহেলে দেখবেন মন অনেক বেশি শান্ত থাকে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে, নিজের ধর্মের প্রার্থনা দিয়ে দিন শুরু করুন। এতে মানসিক শান্তি যেমন পাবেন, অস্থিরতা ও উদ্বেগ দূর হবে। শারীরিক উপকারিতাও কিন্তু কম নয়। আর এজন্য প্রয়োজন ইচ্ছা ও মাত্র কয়েক মিনিট সময়।
ব্যায়াম
প্রতিদিন সাধারণত আমরা যে সময়ে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করি ব্যায়াম করার জন্য একটি ঘণ্টা তো দূরের কথা বিশ মিনিটের সময় বের করাও কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সকাল ৬টা থেকে দিন শুরু করি তবে দেখুন কত সময়। চাইলে ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা বা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ আর ইয়োগা যে কোনোটি করতে পারেন। আবার ঘরের টুকিটাকি কাজ করলেও কিন্তু আমাদের ওয়ার্ক আউটটা হয়ে যায়। যেমন বিছানা গোছানো, ফার্নিচার মোছা, মেঝে পরিষ্কার, করতে পারেন যে কোনোটি।
কাজের তালিকা
অনেক সময় খুব জরুরি কারণে কাউকে ফোন করতে হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে আর হয়ত মনেই থাকে না। তাই সারা দিনের জন্য কাজের পরিকল্পনা করে নিন। একটি ডায়েরিতে জরুরি তালিকা করে রাখলে কাজ করা সহজ হবে। আর কাজের চাপে কোনো কিছু ভুলে গেলেও লেখা থাকলে কাজ মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ও আরেকটি বিষয়, আমরা শুধু কাজের তালিকার কথা বলি। কিন্তু কাজের ফাঁকে যে বিশ্রাম নিতে হবে তাও লিখে রাখুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার
কোনো সন্দেহ নেই সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমাদের অনেকেরই সকালে নাস্তা না করে কাজে দৌঁড়াতে হয়। আর কাজের চাপে অনেক দিনই নাস্তা করার সময় হয় না। রাতের পর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্যই নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যেস করতে হবে এবং সকাল আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশে বের হতে হবে। রুটি, সবজি, ডিম, যে কোনো একটি ফল আর চা হতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা। তবে ভিন্নতা আনতে মাঝে মধ্যে দুধ দিয়ে কর্নফ্লেক্স বা সবজি খিচুড়িও খাওয়া যায়। এছাড়া সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সকালে রাতে ভিজিয়ে রাখা মাত্র ৫টি বাদাম খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন।
সময় নিয়ে তৈরি
তাড়াহুড়ো করে অফিস বা ক্লাস ধরতে হলে অনেক সময় যেন-তেন মতো দৌঁড়ে বেরিয়ে যাই। কিন্তু সকালে একটু আগে উঠতে পারলে প্রয়োজন মতো তৈরি হওয়ার সময় পাওয়া যায়। যেমন অফিসে জরুরি মিটিং-এ বাইরের কোনো অফিসের কর্মকর্তা আসবে। আপনি যেখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানে সাজ পোশাকটা তো তেমনই হওয়া চাই। তাই তৈরি হওয়ার জন্য নিয়মিত হাতে অন্তত কিছুটা সময় রেখে বিছানা ছাড়ুন।
সকালই বলে দেয় সারাদিন কেমন যাবে। তাই চেষ্টা করুন সকালটা ভালোলাগা নিয়ে সুন্দরভাবে শুরু করতে।