ট্রেইনি-ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি বাড়ল

0
158

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আশানুরূপ ফল না আসায় ভাতা বৃদ্ধি ও বকেয়া পরিশোধসহ চার দাবিতে চলমান কর্মবিরতি আরও পাঁচ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

রোববার (২৪ মার্চ) রাতে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুন্নবীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে, চার দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা, সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে আশানুরূপ ফলাফল আসেনি। ফলে আরও পাঁচ দিন (২৫-২৯ মার্চ) পূর্ণ কর্মবিরতির (ক্যাজুয়ালিটিসহ) ঘোষণা করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সোমবার ভুটানের রাজার সফর থাকায় দেশের ভাবমূর্তি বিবেচনায় ঢাকায় কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু ঢাকার বাইরে সব মেডিকেল কলেজে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সমন্বিত কর্মসূচি পালিত হবে।

উল্লেখ্য: চার দাবিতে যৌথ আন্দোলন করছেন পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। দাবিগুলো হলো:

> ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন ৩০ হাজার টাকা এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।

> পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের (এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট) বকেয়া ভাতা দিতে হবে।

> ১২টি প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ও রেসিডেন্টদের আকস্মিক ভাতা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি পুনর্বহাল করতে হবে।

> অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবস্থান করা পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে দেখা করে চার দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।

এ সময় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তোমাদের কাজটা হাতে নিলাম। কাল বা পরশু সময় করে একটি সভা করবো বিষয়টি নিয়ে। যত দ্রুত সমাধান করা যায় সেটি আমি করবো। এরপর তোমাদের জানাবো।’

তিনি আও বলেন, ‘আমি নিজে চিকিৎসক, কাজেই আমি তোমাদের সবকিছু জানি। সব চিকিৎসকের মানসম্মান নির্ভর করে তোমাদের ওপর। তোমরা যদি ভালো কাজ করো তাহলে সবাই আমার প্রশংসা করবে। দরকার হলে আমি এটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবো। কারণ, তোমাদের ভালোভাবে রাখতে না পারলে আমি কাজ আদায় করতে পারবো না, জনগণ চিকিৎসা সেবা পাবে না। কাজেই তোমরা যে যার ঘরে ফিরে যাও।’