রোদে যাব, না-কি যাব না? এই প্রশ্ন আমাদের সবারই মাথায় কমবেশি আসে। অনেকে মনে করেন রোদে গেলে ত্বক পুড়ে যাবে, রোদের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে ত্বকের ক্ষতি করবে, এ কারণে রোদে যাওয়া হয় না। তবে রোদে যাওয়ারও উপকারিতা আছে।
রোদ থেকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সহজেই গ্রহণ করতে পারি। একজন মানুষের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুক্ষণ রোদে দাঁড়ালে আপনিও আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করতে পারবেন।
আমাদের ত্বকে রোদ পড়লেই সেটি থেকে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। আর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে তা দিয়ে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম তৈরি হয়। তাই তো ভিটামিন ডি-কে বলা হয় ‘সানশাইন ভিটামিন’।
রোদ থেকে কীভাবে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি পায়?
মূলত রোদের সংস্পর্শে এলে ত্বকে থাকা কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি হয় এই ভিটামিন।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কম বয়সীরা শরীরে ভিটামিন ডির অভাবে অবসাদগ্রস্ত হন। যাদের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব রয়েছে তারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর আমাদের বয়স যত বাড়বে, তত আমাদের শরীর ভিটামিন ডি তৈরির সক্ষমতা হারাবে। এতে করে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ আমাদের ঝেঁকে ধরে।
এখন প্রশ্ন ভিটামিন ডি পেতে কতক্ষণ রোদে থাকতে হবে? এছাড়া কোন সময়ের রোদে গেলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
সূর্যের আলো ভিটামিন ডির প্রাকৃতিক উৎস সেটা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। তবে ভিটামিন ডি পেতে দিনের ঠিক কোন সময়ের রোদ গায়ে লাগাতে হবে সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যের রোদ ভিটামিন ডির খুব ভালো উৎস। অর্থাৎ, বাইরে বের হয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, সেই সময়ের রোদে আপনার ত্বক সবচেয়ে ভালো ভিটামিন ডি উৎপন্ন করতে পারে।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মিড ডে-র পরে রোদে যাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর। এতে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পেতে সূর্যের আলো ত্বকে সরাসরি লাগাতে হবে। পোশাক বা সানস্ক্রিন সরাসরি ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে বাধা দেয়। তাই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বের হলেও ভিটামিন ডি পেতে হাত-পা যেন উন্মুক্ত থাকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তাছড়া মাঝেমধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে বের হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এছাড়া দিনে মাত্র ২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকলেই আপনার শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারে।