ঋতুচক্রে মেয়েদের স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়কাল ধরা হয় ২৮ দিন। এই ২৮ দিন পর পর পিরিয়ড হওয়াকে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ধরা হয়।
২৮ দিনের সাত দিন আগে বা ৭ দিন পরও যদি হয় তা স্বাভাবিক ঋতুচক্র বলা হয়। যদি মাসিক ৩৫ দিনের বেশি অর্থাৎ যে সময় মেয়েদের মাসিক হওয়ার কথা (প্রত্যেক মাসে একটা নির্দিষ্ট দিনে) তার ১০ দিন বা ১৫ দিন পর হয় অথবা অনেকের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসের ব্যবধান হয়ে থাকে, তাহলে এই ঋতুচক্রকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলা হয়।
বেশ কিছু কারণে অনিয়মিত মাসিক ( irregular menstruation) হতে পারে-
১. ওজন বেড়ে যাওয়া
২. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
৩. মানসিক চাপ
৪. জরায়ু টিউমার
৫. এন্ডোমেট্রিওসিস
৬. থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য- ইত্যাদি।
অনিয়মিত মাসিকের কারণে দুই ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। প্রধান সমস্যা হলো সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যায় ও অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হয়ে থাকে।
করণীয়
*অনিয়মিত মাসিক প্রতিরোধের সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে- যার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সেটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।
*ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুডজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
*স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
*নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
*নিয়ম করে রোজ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা রাতে ঘুমাতে হবে।
আর একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে শুরুতেই পরামর্শ নিতে হবে।
যখন মাসিক অনিয়মিত হচ্ছে, শুরুতেই গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। যদি হরমোনের তারতম্য দেখা যায়, তা হলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকে, যাতে পরবর্তীতে মাসিক নিয়মিত হওয়া, বাচ্চা নিতে সমস্যা না হয়।
লেখক: আয়েশা আক্তার
সহকারি পরিচালক
২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।