শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো। এদিন সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৯৩। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার স্কোর ছিল ২৩৬।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় আইকিউ এয়ারের তালিকায় দেখা যায়, সবচেয়ে দূষিত ১০টি শহরের ৮টিই এশিয়ার। তালিকায় ১৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো।
এছাড়া ১৮৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর এবং ১৮০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পোল্যান্ডের ক্রাকো। এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে ভারতের মুম্বাই, পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের কোলকাতা, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, চীনের বেইজিং এবং নেপালের কাঠমাণ্ডু।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এ অবস্থায় বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। ফলে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরে বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। তবে বর্ষাকালে বায়ুর মানে কিছুটা উন্নতি হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।