খাবার জিনিসটা মানুষের কাছে পানির মতো। পানি যেমন মানুষের জীবন বাঁচায়। আবার পানিতে ডুবে মানুষ মারাও যায়। তেমনিভাবে খাবার মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খাবার খেয়ে মানুষ যেমন বেঁচে থাকে। আবার অনিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণের ফলে মানুষকে নানারকম সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। চিকিৎসকদের গবেষণায় দেখা গেছে- খাওয়ারদাওয়ার অভ্যাস মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই সন্তানহীনতার বড় কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাই কোন কোন খাবার এড়িয়ে চললে মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমতে পারে, আসুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রন্ট পাবলিক হেলথ নামক একটি মেডিকেল পত্রিকা রিপোর্ট করেছে কয়েকটি খাবার মহিলাদের মা হওয়ার জন্য অন্তরায় হতে পারে এমনকি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও মায়েদের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আসুন জেনে নিই, সেই খাবারগুলো কি কি ?
দুগ্ধজাত খাবার
যেসকল দুগ্ধজাত খাবার কমফ্যাটযুক্ত সেই সকল খাবার মহিলাদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কেননা কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারে থাকা ক্যালশিয়াম শরীরে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমন প্রতিরোধ করতে পারে না। ফলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য বাঁধাগ্রস্ত হয়।
খারাপ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার
কার্বোহাইড্রেট খাবারের সুবিধা অসুবিধা দুটোই রয়েছে। তবে যেসব খাবারগুলোতে নিম্নমানের খারাপ কার্বোহাইড্রেট আছে সেগুলো বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। পাউরুটি, ময়দার তৈরি কিছু বিস্কুটে খারাপ কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে।
ট্রান্সফ্যাট
রক্তনালীর জন্য খুবই ক্ষতিকর এই ধরনের ফ্যাট। রক্তবাহিকা হলো প্রজনন অঙ্গে পুষ্টি সরবরাহ করে। মাইক্রোওয়েভে তৈরি হওয়া খাবারগুলিতে এই ধরনের ফ্যাট থাকে। এছাড়াও টিপস্, ভাজা টাইপের খাবারেও ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে। তাই বন্ধ্যাত্বর আশঙ্কার কমাতে এই সকল খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
সামুদ্রিক খাবার
সামুদ্রিক খাবার শরীরের জন্য ভালো। তবে কিছু কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলোতে মার্করির পরিমাণ বেশি সেগুলো বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়াতে সহায়তা করে। টুনা মাছে মার্কারির পরিমাণ অনেক বেশি।