বর্তমানে সবাই এতটাই ব্যস্ত যে সঙ্গীকে বেশি সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। অথচ সামাজিক মাধ্যমে অন্য কোনো জুটির সুখী সুখী ছবি দেখলে মনের মধ্যে শুরু হয় টানাপোড়ন। সবার আগে মাথায় রাখা উচিত যে প্রত্যেকের সম্পর্কের সমীকরণ এক হয় না। আবার সামাজিক মাধ্যম আর বাস্তব এক নাও হতে পারে। তাই কোনো কিছু দেখেই নিজেদের সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কারুর সম্পর্কের তুলনা করা উচিত না।
সুস্থ সম্পর্কের জন্য প্রচেষ্টা এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক যাতে মলিন না হয় এজন্য প্রয়োজন যত্নের। ছোট ছোট যত্নই সম্পর্ককে মজবুত করে। স্বাস্থ্যকর ও সুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে কয়েকটি টিপস অনুসরণ করুন-
১. কথা বলা যে কোনও সম্পর্কের চাবিকাঠি। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটান, গল্প করুন, তার বলা কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তার দিকটাও সমানভাবে চিন্তাভাবনা করুন। সঙ্গীর অনুভূতিকে প্রাধান্য দিন। নিজেদের মধ্যে সততা বজায় রাখুন। সঙ্গীর প্রতি সহানুভূতিশীল হন। পাশাপাশি নিজের মনের কথাও তার সঙ্গে ভাগ করে নিন।
২. একটা সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। নিজেদের মধ্যকার বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখুন। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে নির্ভরযোগ্য, সৎ এবং স্বচ্ছ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রতিশ্রুতি দেবেন তা মেনে চলুন। বিশ্বাস কখনও ভাঙবেন না, কারণ বিশ্বাস ভাঙলে তা জোড়া লাগানো খুব মুশকিল।
৩. স্বাস্থ্যকর সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব প্রয়োজন। সঙ্গীর জন্য নিয়মিত সময় বের করে তার সঙ্গে কোথাও ঘুরতে, খেতে যান বা সিনেমা দেখুন। এতে দুজনে ভালো সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।
৪. পারস্পরিক শ্রদ্ধা যেকোনও সুস্থ সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর মতামত এবং অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর অর্থ হল তাকে গুরুত্ব দেওয়া। এতে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগবে না।
৫. মনোমালিন্য যে কোনও সম্পর্কের একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে এটি যেনো সহজে মিটে যায় তা খেয়াল রাখবেন। সঙ্গীর দৃষ্টিভঙ্গি শোনা, একে অপরের অনুভূতি বোঝা, তার সমাধান একসঙ্গে খোঁজাটা খুব দরকারি।