শুধু শারীরিক সুস্থতার ওপরই সৌন্দর্য নির্ভর করে না। শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে কাজ করে। কিন্তু আপনি জানেন কি, ধীরে ধীরে আপনার সৌন্দর্য আপনি হারিয়ে ফেলছেন মানসিক অসুস্থতার কারণে। আর এ মানসিক অসুস্থতার একটি বড় লক্ষ্মণ হলো প্রায়ই ‘মুড অফ’ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা।
শুধু মুড অফ নয়, প্রায়ই যদি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন, কোন কাজে সহজে মনোযোগ দিতে পারেন তবে আপনি একটি বিশেষ ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন, এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন ডি’র অভাবে এমনটা হয়ে থাকে। শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব হলে মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপে তা প্রভাব ফেলে। মানসিক অবসাদের পাশাপাশি মন খারাপের একটি বড় কারণ শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি শুরু হলে স্নায়ু অর্থাৎ মস্তিষ্কে নানান রোগের জন্ম হতে শুরু করে। । নিউরোসাইকোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, নিউরোডিজেনারেটিভ ডিজঅর্ডার, মাল্টিপল স্কলেরোসিস, অ্যালঝাইমার্স, পারকিনসন্স, নিউরোকগনিটিভ ডিজঅর্ডারের মতো স্নায়ুর রোগ হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বেড়ে গিয়ে খিটখিটে মেজাজ হতে শুরু করে। যার কারণে খিদে লাগার প্রবণতাও কমতে শুরু করে।
এসব লক্ষ্মণ ছাড়াও বেশকিছু লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব রয়েছে। যেমন: ক্লান্তিবোধ, অনিদ্রা, হাড় ব্যথা, চোখের নিচে কালি, অবসাদ, চুল পড়া, পেশিতে টান এমনসব উপসর্গও যদি দেখতে পান তবে আপনি ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগছেন।
তাই এসব লক্ষণ দেখে দেরি করবেন না। শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাবের উপসর্গ দেখলেই সূর্যস্নান করতে পারেন। কারণ, সূর্যের আলোতে সপ্তাহে তিন দিন আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেই আপনার ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দূর হয়ে যাবে।
ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দূর করতে নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ২০ মিনিট সূর্যস্নান করুন। ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে সহজ আর দ্রুত কাজ করে এ উপায়।