দীর্ঘ সময় প্রেম করার পর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করলেন। বিয়ের পর চলছেও সব ঠিকঠাক। যেন জীবনে এর থেকে ভালো কিছু আর হতেই পারেনা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব যেন কেমন মলিন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সম্পর্কের বাঁধনও ঢিলেঢালা হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বিবাহিত জীবন হল ম্যারাথন রেস। এখানে প্রথম থেকে খুব বেশি জোরে দৌড়ালে পরে গিয়ে দম পাবেন না। তখন ভালোবাসার অভাবে রেস থেকে যাবে অসমাপ্ত। তাই ‘ধীরে চলো’ নীতি মেনে চলতে হবে। চেষ্টা করতে হবে দম বাঁচিয়ে রাখার। এমনকি মাঝেমধ্যে স্বাস্থ্য পানীয় পান করতে হবে।
দাম্পত্য জীবনে স্বাস্থ্য পানীয় হলো সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়া। বছরে একবার একটা বড় ভ্রমণ করে ফেলতে পারলেই দেখবেন বিরাট সব সমস্যার সহজ সমাধান করে ফেলতে পেরেছেন। নিজেরা ভালো রয়েছেন। সব কুয়াশা মন থেকে ধুয়ে যাবে। নতুন করে বাঁচতে পারবেন। সেই সঙ্গে মিলবে উপকারও।
বছরে একবার ভ্রমণ করলে বেশকিছু উপকার পাওয়া যায়, তা নিয়েই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মন খারাপের মহৌষধি
পাহাড়ের কোলে কিংবা সমুদ্রের ধারে। চাইলে ঘন সবুজ বনানীর মধ্যেও হাটতে যেতে পারেন। শুধু একবার বেরিয়ে পড়ুন। প্রকৃতির অকৃত্রিম সৌন্দর্যে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। মনের ভেতর চলবে ঠান্ডা হাওয়া। সেই হাওয়া যে কোনো মন খারাপের মহৌষধি।
শক্ত হয় সম্পর্কের ভিত
ঘরের চার দেয়ালের ভেতর একই রুটিন মেনে চলতে চলতে একঘেয়েমি হয়ে গেছে জীবন। এমনকি সম্পর্কের জমিতেও জমা হয় শ্যাওলা। সেই শ্যাওলায় পা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই একঘেয়েমি কাটিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। ঘুরতে গেলেই দেখবেন আবারও সম্পর্কের গাড়ি মসৃণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দাম্পত্যে ফিরেছে প্রাণ।
সম্পর্কে নতুন বাতাস
একটা সময়ের পর বিবাহিত জীবনে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তখন পাশাপাশি থাকাটা রুটিনে পরিণত হয়। যেন থাকতে হয় বলেই থাকা। তবে আপনাকে এই রুটিন ভাঙতে হবে। তাই ঘরের বাইরে দুই পা ফেলে স্বামী-স্ত্রী বেরিয়ে পড়ুন। হারিয়ে যাওয়া সেই আকর্ষণ ফিরে পাবেন। সম্পর্কে প্রবেশ করবে নতুন বাতাস। অক্সিজেন পাবে নুইয়ে পড়া দাম্পত্য।
একাকীত্ব দূর হয়
ব্যস্তময় জীবনে অনেক সময় একে অপরকে সময় দেয়া হয়ে ওঠে না। সেখান শুধু থাকে কাজ আর কাজ। কিন্তু এই সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে পারে একটা ছোট্ট ভ্রমণ। তাই আর দেরি না করে আজই টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং করে নিন। আর ছকে ফেলুন রুট ম্যাপ।
সহনশীলতা বাড়ে
ঘুরতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া শক্ত হয়। আসলে বাইরে কোথাও গেলে সেখানকার মতো করে জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে হয়। ফলে ঘুরতে গিয়ে সহনশীলতা আপনার মধ্যে এমনিই চলে আসবে। আর এ গুণ কাজে লাগবে সংসার করার ক্ষেত্রে। তাই এবার ঘোরার পরিকল্পনাটা ছকে ফেলুন।