পোষা প্রাণীটি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে ওই পরিবারের সদস্য। যারা বিড়াল পোষেন তাদের চেষ্টা থাকে ভালো খাবারটি পছন্দের প্রাণীটিকে দিতে। কেউ কেউ আবার নিজেরা যা খান তাই বিড়ালকে দেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কারণ মানুষের জন্য যা উপকারী বিড়ালের জন্য তা নাও হতে পারে।
জেনে নিন এমন কিছু খাবারের কথা যা বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর-
পেঁয়াজ ও রসুন : পেঁয়াজ,রসুন,শালগম এবং পেঁয়াজপাতা বিড়ালের লোহিত রক্তকণিকার ক্ষতি করে। এর ফলে রক্তশূন্যতা হতে পারে। বেশি পরিমাণে এসব খাবার খাওয়ালে বিড়ালের জন্য তা বিষাক্ত হয়। আবার পেঁয়াজের স্যুপ, রসুনের গুঁড়াও বিড়ালের জন্য বিপজ্জনক ।
কাঁচা ডিম, কাঁচা মাংস ও হাড় : মানুষের মতোই, বিড়ালও কাঁচা ডিম বা কাঁচা মাংস খেলে সালমনেলা বা ইশিকোলাই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগের লক্ষণগুলো বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায় যেমন- বমি, পাতলা পায়খানা ও শরীর শীতল হয়ে যাওয়া। বিড়ালের থেকে এসব রোগ মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে। এ কারণে রান্না করার পর সঠিকভাবে হাত ধোয়া এবং বিড়ালকে কাঁচা খাবার দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
চকলেট এবং ক্যাফিনযুক্ত পানীয় : আমরা জানি, চকলেট কুকুরের জন্য প্রাণঘাতি। কিন্তু এটা বিড়ালদের জন্য হুমকিস্বরূপ । চকলেটে মিথিলক্সানথাইন নামক পদার্থ রয়েছে যা বমি, পাতলা পায়খানা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, টিউমার, পেটে ব্যাথা ইত্যাদি তৈরি হতে পারে। ক্যাফেইনেও মিথিলক্সানথাইন পাওয়া যায় যা এড়িয়ে চলা উচিত।
আঙ্গুর ও কিশমিশ : একটুকরো আঙ্গুর বা কিশমিশ বিড়ালের অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এগুলি খেলে বিড়ালের কিডনি নষ্টও হয়ে যেতে পারে। এসব খাবার খাওয়ার ১২-২৪ ঘন্টার মধ্যে ইনজেকশন না দিলে বিড়ালের বমি, দুর্বলতা, খাওয়ার প্রতি অনীহা, পাতলা পায়খানা হতে পারে।
তাছাড়া দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, কুকুরের খাবার, অ্যালকোহল -এসব খেলে বিড়ালের বদহজম, খাদ্যনালীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সূত্র: হিলপেটস