দই অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এ খাবারটি খাওয়া নিরাপদ না ঝুঁকিপূর্ণ, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। যদি এমন সমস্যায় আপনিও থাকেন, তবে আজকের আয়োজন আপনারই জন্য।
দইয়ে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা কোনো খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে দই ডায়েট লিস্টে রাখতেই হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হবু মায়েদেরও ডায়েট লিস্টে দই রাখা প্রয়োজন। কারণ, গর্ভাবস্থায় হজমশক্তি হ্রাস পায়। পেটে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে। এ সময় গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবু মায়েরা কোনো ওষুধ খেতে পারেন না। কারণ, এতে শিশুর ভ্রূণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই এ সময় ভরসা রাখতে পারেন টক দইয়ের ওপর।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, হবু মায়েদের নিয়মিত দই খাওয়ার অভ্যাস না থাকলেই বিপদ! কারণ,
১। দই অন্ত্র সুস্থ রাখে, যা ইমিউনিটি দ্রুত বাড়িয়ে তোলে।
২। দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম হবু মা ও শিশুর হাড় মজবুত করে তোলে। ভ্রূণের দাঁতের গঠনেও ভূমিকা রয়েছে দইয়ের।
৩। ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে দই। কিডনি, চোখ, হার্টের সুরক্ষায়ও দারুণ কাজ করে এটি।
৪। রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে দই। হরমোনজনিত পরিবর্তন কিংবা ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকের পরিবর্তন শুরু হলে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করে দই। পিগমেন্টেশন প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৫। গর্ভাবস্থায় খুব বেশি ওজন বৃদ্ধি এড়াতে চাইলে দই খান। দই ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
৬। হবু মায়েদের প্রেগনেন্সির সময় ঘনঘন মুড চেঞ্জ হয়। অযথাই বাড়তে থাকে উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা। এ সময় দই খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা স্ট্রেস হরমোন কার্টিসল বাড়তে বাধা দেয়, যা মানসিক চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে হবু মায়েদের।
তাই গর্ভাবস্থায় হবু মায়েদের অবশ্যই রাখতে হবে এক কাপ দই। মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করলে এর সুফল দ্রুত পাওয়া যাবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।