বয়স ৩০! পুরুষদের এই শারীরিক পরীক্ষা জরুরি

0
328

অফিস, পরিবার সবকিছু সামাল দিলেও নিজেদের শরীরের ওপর খুব বেশি মনোযোগ দেন না পুরুষেরা। সারা দিন অফিস কিংবা কাজের ব্যস্ততার মাঝে শরীরের জন্য আলাদা করে সময় বার করার সুযোগ হয়ে ওঠে না অনেকেরই।

এ ছাড়া বর্তমান সময়ে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহা— এই সব অভ্যাসে কারণে শরীরে বাসা বাধে একাধিক রোগ। তবে শরীরে কোনও বড় রোগ জাঁকিয়ে বসার আগেই ধরা পড়লে অনেক বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাই পুরুষের ৩০ পেরোলে কিছু কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের।

কী কী শারীরিক পরীক্ষা জরুরি

১) মানসিক চাপ
বয়স যখন ৩০-এর কোঠায় তখন বেশীরভাগ পুরুষই কর্মজীবনের মধ্যগগনে থাকেন। শুধু কাজেরই নয়, থাকে পারিবারিক চাপও। সব মিলিয়ে চাপ পড়ে মনের উপর। এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে প্রয়োজনে মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে।

২) ডায়াবেটিস পরীক্ষা
ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ইদানীং অল্প বয়সিদের মধ্যেও বেড়েছে এই রোগের ঝুঁকি। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। এক দিন খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করে জেনে নিন, আপনি ডায়াবেটিক কি না। অনেক সময় আগে থেকে পরীক্ষা করলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না, ধরা পড়ে যায় তা-ও।

৩) প্রস্টেট ক্যান্সার পরীক্ষা
পুরুষদের মধ্যে যে ক্যান্সারগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার অন্যতম। তাই পুরুষদের ৩০ পেরোলেই এই গ্রন্থির পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, সময় মতো ধরা পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। দু’বছরে এক বার ‘প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষা করানো জরুরি।

৪) লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা
রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদ্‌রোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই বয়স ৩০ এর পরই রক্তে স্নেহপদার্থের মাত্রা কত, তা পরীক্ষা করে জানা দরকার। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলে পরবর্তী জীবনে অনেক শারীরিক সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

৫) হরমোন পরীক্ষা
পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে হাইপোগোনাডিজ়ম নামক একটি রোগ হতে পারে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ একটা বয়সের পর এই হরমোনের সমস্যায় ভোগেন। তাই ৩০ পেরোলেই এই হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পাশাপাশি পরীক্ষা করা দরকার ভিটামিন বি১২ ও সিরাম ফেরিটিনের মাত্রাও।