উচ্চ রক্তচাপ বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। সবচেয়ে বড় কথা, এর কোনও প্রাথমিক লক্ষণ নেই। এই কারণে একে নীরব ঘাতকও বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বেশিরভাগ ব্যক্তিই জানেন না যে তাদের এই সমস্যা রয়েছে। অনেকে জানলেও তা উপেক্ষা করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এর ব্যাখা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৪০ mmHg বা তার বেশি এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ mmHg বা তার বেশি হলে তাকে খাতায়-কলমে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী, ১৯৯০ সালে এতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৫ কোটি। কিন্তু ২০১৯ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১৩০ কোটিতে দাড়িয়েছে।
ডব্লিউএইচও -এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে ব্যাখা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই সাধারণ কিন্তু মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগের কারণে স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিওর, কিডনি ফেলিওরের মতো নানা রোগ হতে পারে।’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, তামাক সেবনের কারণে উচ্চ রক্তচাপে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ছে কেন?
খাবারে অত্যাধিক লবণ, তামাক, স্থূলতা, অ্যালকোহল এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। ডব্লিউএইচও -এর মতে এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০২০-২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপের প্রায় ২৪ কোটি নতুন কেস রিপোর্ট হতে পারে।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের জন্য বিষের সমান
লবণ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ। লবণ খাওয়া কমানোও খুব কঠিন কিছু নয়। ডব্লিউএইচও তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী খাবারে লবণ পরিমাণ কমিয়ে প্রতিদিন ৯-১২ গ্রামে আনা হলেই তা উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। শুধু মাত্র এটুকু করলেই বিশ্বে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগ থেকে ২৫ লক্ষ মৃত্যু রুখে দেওয়া যাবে।






