গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলতে হবে যেসব খাবার

0
321

একজন মায়ের জন্য গর্ভকালীন সময়টি যেমন সুন্দর তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থার নয় মাস প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হয় সচেতনতার সঙ্গে। খাওয়া থেকে শুরু করে চলাফেরা সবকিছু সঠিক নিয়ম এবং নির্দেশনার গণ্ডিতে রাখতে হয়। এ সময় মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো কিছু এড়িয়ে চলতে হবে।
গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা কতটুকু প্রয়োজন তা বলার অপেক্ষা থাকে না। এ সময়ের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মতামতের শেষ নেই। গুরুজনরা বলেন এটা খাওয়া যাবে না, ডাক্তার বলেন সেটা খেলে কোনো সমস্যা নেই, অনেকে বলেন নির্দ্বিধায় সব খেতে। বিভ্রান্তিকর তথ্যের বেড়াজালে পড়ে যান অন্তঃসত্ত্বা নারী।

 

বিভ্রান্ত না হয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে জেনে নিন

আধা সিদ্ধ মাংস

গরুর মাংস, মুরগি বা যেকোনো ধরনের মাংস কম রান্না করে খেলে এগুলোতে উপস্থিত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বিকাশমান ভ্রূণের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে, যা গর্ভপাত, অকাল প্রসব বা গুরুতর অসুস্থতার মতো ঘটনা ঘটায়। অন্তঃসত্ত্বার হজমেও সমস্যা হয়। তাই খুব ভালো মতো উচ্চ তাপমাত্রায় মাংস রান্না করে নরম করে খেতে হবে।

কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিম

কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিম সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া বহন করে যা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটায়। গর্ভবতী নারীদের কাঁচা বা আংশিক রান্না করা ডিম বা তা দিয়ে তৈরি খাবার যেমন: মেয়োনিজ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তাই ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশ শক্ত না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ বা রান্না করে খেতে হবে।

অপাস্তুরিত দুধ

অপাস্তুরিত দুধ মূলত কাঁচা দুধ। অনেকে মনে করেন দুধ জাল দিলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এই ধারণা একদমই ঠিক নয়। কাঁচা মাংস আর ডিমের মতো দুধেও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা থেকে ডায়রিয়ায় মতো রোগ হতে পারে। তাই দুধ বা দুধজাতীয় খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি করে খেতে হবে।

পেঁপে

গর্ভাবস্থায় পেঁপের মতো পুষ্টিকর একটি ফল এবং কাঁচা পেঁপের মতো উপকারী সবজি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানগুলোই গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর হয়ে যায়। যেমন: এতে রয়েছে পেপসিন এবং পাপাইন যা ভ্রূণের জন্য এতটাই ক্ষতিকর হয় যে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছে পারদজাতীয় পদার্থ থাকে, যা গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। আবার কিছু মাছে থাকে অতিরিক্ত লবণ, যা খেলে মায়ের শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার তারতম্য ঘটে।

ক্যাফেইন

চা- কফির অতিরিক্ত নেশা গর্ভাবস্থায় বাদ দিতে হবে। অনেক চকলেট, পানীয় এমনকি ওষুধেও ক্যাফেইন থাকতে পারে। একজন গর্ভবতী মা প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারবেন। তাই খাবারে ক্যাফেইনের পরিমান লক্ষ রাখতে হবে। ক্যাফেইন সরাসরি মায়ের প্লাসেন্টাতে গিয়ে শিশুর হৃৎপিণ্ডের কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করে। তাই চিকিৎসকরা বেশির ভাগ সময় ক্যাফেইন বর্জন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।