কৃত্রিম মিষ্টি ক্যান্সারের সম্ভাব্য কারণ!

0
166
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে কোমল পানীয়, চুইংগামসহ অন্য সব খাদ্যপণ্য তৈরিতে ‘অ্যাসপার্টাম’ নামের যে কৃত্রিম মিষ্টি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়— সেটিকে ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ঘোষণা দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চলতি জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণা আসার কথা।

সংস্থাটির এমন ঘোষণার পর বাজারে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ঘোষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় দাবি করে থাকে যে, তাদের পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান নেই। তবে ক্যান্সারের গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে থাকে ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)। আন্তর্জাতিক এ স্বাস্থ্য সংস্থাটির এই ইউনিট সাম্প্রতিক এক গবেষণায় নতুন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে।

তাদের দাবি, ‘অ্যাসপার্টাম’নামের এ কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে কোকা-কোলা ডায়েট সোডা থেকে শুরু করে মার্স এক্সট্রা চুইংগাম এবং স্ন্যাপেল ড্রিংক হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন স্বাদের কিছু বোতলজাত পানীয় ( ফল ও স্বাদযুক্ত চা অন্যতম) তৈরি করা হয়। এবারই প্রথমবারের মত আইএআরসি কৃত্রিম চিনি ‘অ্যাসপার্টাম’কে ‘মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সম্ভাব্য উপাদান’ হিসেবে জুলাইয়ে ঘোষণা দেবে।

আইএআরসির বিশেষজ্ঞ দল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জুন মাসের শুরুতে একটি বৈঠকে বসেন। সেখানেই কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টেমকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সম্ভাব্য উপাদান হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

তবে একজন মানুষ সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান কতটুকু পর্যন্ত খেতে বা পান করতে পারেন— এ তথ্য জানায় নি আইএআরসি।

এ বিষয়ে মতামত দিয়ে থাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরেক অঙ্গ সংস্থা জেইসিএফএ। সংস্থাটি ১৯৮৩ সাল থেকে বলে আসছে, একজন মানুষ সীমিত পরিমাণ অ্যাসপার্টাম গ্রহণ করতে পারেন। তবে জানা গেছে, আইএআরসির পাশাপাশি জেইসিএফএ জুলাইয়েই অ্যাসপার্টাম নিয়ে নতুন করে মতামত প্রকাশ করবে।

এর আগেও অন্য খাদ্য পণ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আইএআরসি। সংস্থাটির এমন ঘোষণার পর বাজারে এর বড় প্রভাব পড়েছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যে ব্যবহৃত উপাদান পরিবর্তন করতে পর্যন্ত বাধ্য হয়।