শরীরে চর্বি জমলে কিছুদিন জোরদার হাঁটাহাঁটি, ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়া করে কিছুটা মেদ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন অনেকেই। এতে শরীরের সার্বিক ওজন কমলেও, পেটের মেদ সবসময় কমে না। পেটের মেদ কমাতে দরকার পড়ে ধৈর্য আর শারীরিক কিছু কসরতের। পরিশ্রম করার পাশাপাশি সারা দিনে কাজের ফাঁকেও কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। তবেই কমবে পেটের মেদ। তাই আসুন জেনে নিই পেটের মেদ কমানোর সহজ কয়েকটি উপায়।
পানি
প্রচুর পানি পান করুন। পানি শরীরের নানা অসুখ থেকে আপনাকে নিরাপদ রাখবে। পানিস্বল্পতার কারণে মাথাব্যথা থেকে শুরু করে নানা অসুখ তৈরি হতে পারে। সেসব থেকেও মুক্তি মিলবে নিমেষেই।
গ্রিন টি: এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ এমন কিছু পুষ্টির উপাদান, যা চর্বি কমাতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পানে কমতে শুরু করবে ওজন।
মরিচ: কাঁচা মরিচে আছে ক্যাপসেইসিন নামের একধরনের উপাদান, যা শরীরকে সুঠাম করতে কার্যকর। রান্না করা বা কাঁচা যেকোনো ধরনের মরিচের ঝাল মেটাবোলিজম বাড়িয়ে দেয় এবং নিজে থেকেই ক্যালরি বার্ন করে। তাই একটু বেশি ঝালযুক্ত খাবার কমাতে পারে ওজন।
সাগু দানা: যদি আপনি একেবারে নিরামিষভোজী হন, তাহলে ওমেগা থ্রি নিয়ে একদমই ভাবতে হবে না। সাগুদানায় আছে ওমেগা থ্রি, যা ওজন কমাতে সহায়তা করবে। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, লোহা ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।
আদা-চা: আদা হজমে সাহায্য করে। সারা দিনের দৌড়ঝাঁপে আদা-চা যেমন প্রশান্তি দেবে, তেমনি এটি দুশ্চিন্তাজনিত ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
লেবু-পানি: চিনি ছাড়া তৈরি লেবু-পানি শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। লেবু-পানি লিভার পরিষ্কার রাখে, সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেয় চর্বি ভাঙার কাজও। ত্বকেও ফিরিয়ে আনে জেল্লা।
দারুচিনি: দারুচিনি মেটাবোলিজম বাড়িয়ে শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া দারুচিনি শরীরে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়, যার ফলে এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।