ঘোরাঘুরি হয়েছে সারাদিন। কেউ কেউ অফিস ও ঘরের কাজ সামলে ঘুরেছেন। এতে কিন্তু যথেষ্ট পরিশ্রম হয়েছে। ঘুমও ঠিকঠাক হয়নি, সেটাই স্বাভাবিক। এতে আপনার স্বাস্থ্যেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। একইভাবে আপনার ত্বকেও প্রভাব পড়ে। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে যায়। ত্বকের উজ্বলতা কমে যায়।
তখন আপনি এটাই ভাবেন যে, কেন এতবার যত্ন নেয়ার পরেও ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর পেছনে কারণটা বোঝার চেষ্টা করেন না। অনিয়মের কারণেই ত্বকের উজ্জ্বলতা চলে যেতে শুরু করে।
তবে মুখ থেকে এই ক্লান্তিভাব কমানোর উপায়ও আছে। মুখে থাকবে না ক্লান্তির ছাপ, মেনে চলুন কিছু নিয়ম।
ডবল ক্লিনজিং
প্রতিদিন এই প্রথম ধাপটি মেনে চলতেই হবে। এশিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে যখন এই ডবল ক্লিনজিং বিষয়টি ইন্ট্রোডিউস হল, তারপর থেকেই শুধু জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ডবল ক্লিনজিং বছরের পর বছর ধরেই ট্রেন্ড। ডবল ক্লিনজিং বিষয়টি ঠিক কীরকম?
প্রত্যেকের ত্বকেই প্রয়োজন ডবল ক্লিনজিং। বিশেষ করে রাতে অবশ্যই ডবল ক্লিনজিং করা প্রয়োজন। সারাদিন আপনার ত্বকে ময়লা জমে। মেকআপ থাকে। তাই প্রথমে অয়েল বেসড ক্লিন করতে হবে। এরপর ওয়াটার বেসড ফেসওয়াশ মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে আপনার মুখ ড্রাই হয়ে যাবে না। এটা অবশ্যই মেনে চলুন।
ক্লিনজিংয়ের পর ব্যবহার করুন এটি
ক্লিনজিং করার পরেই মুখ পরিষ্কার রাখার পরবর্তী ধাপ হল টোনার ব্যবহার। পরিষ্কার মুখে আমাদের সবসময়ই টোনার ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক ভালো থাকে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য টোনার খুবই উপযোগী। এটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়।
আপনার ত্বকের পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় থাকে। ত্বকের নানা সমস্যাই সমাধান করতে পারে টোনার। কারণ পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হলেই ত্বকে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। একটি তুলোর প্যাড নিন। তাতে টোনার নিয়ে ভালো ভাবে ত্বকে লাগিয়ে নিন। তবে ত্বকে ঘষবেন না। গোলাপ জলও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার বিউটি রুটিনে থাকবে ফেস সিরাম
স্কিনকেয়ার রুটিনে এই এসেন্সের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফেস সিরামের মতোই এই এসেন্স আসলে একটু হালকা হয়। সিরাম ও টোনারের মাঝামাঝি এই উপাদান আপনি সহজেই ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকে হাইড্রেশন বজায় রাখে।
আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনে অবশ্যই ফেস সিরাম থাকা প্রয়োজন। সিরাম শুধুই আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে তা নয়, বরং আপনার স্কিনটোন ঠিক রাখে, আপনার ত্বকে বলিরেখা কম করে। সারাদিন মুখ ময়েশ্চরাইজড রাখে। তাই ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফেস সিরাম অবশ্যই ব্যবহার করুন।
এটা কখনোই ভুলবেন না
যারা বিউটি রুটিন নিয়ে ওয়াকিবহাল তারা কখনও ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে ভোলেন না। তাই আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং যেন থাকে। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। হালকা ময়েশ্চরাইজার বেছে নিন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নেবেন ময়েশ্চারাইজার। এটা ছাড়া কিন্তু আপনার স্কিনকেয়ার রুটিন সম্পূর্ণ হবে না।
শিট মাস্ক
সারাদিন কম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহার করার পরে আমাদের চোখ খুবই ক্লন্ত হয়। তাই শুতে যাওয়ার আগে আই মাসাজ করে আই ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না। চোখের চারপাশের ত্বক সবথেকে বেশি সংবেদনশীল হয়।
ঘোরার পরপরই মুখের যত্ন নেয়ার জন্য এই শিটমাস্ক ব্যবহার খুবই প্রয়োজন। আপনি বাজারচলতি নানা শিটমাস্ক পেয়ে যাবেন। তার সাহায্যে ত্বকের যত্ন নিন। ত্বকের উজ্বলতা মুহূর্তে ফেরানোর জন্য এই শিটমাস্ক খুবই কার্যকরী। তাই আপনিও ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ব্যবহারও সবথেকে সহজ। মুহূর্তে আপনার ত্বক সুন্দর করতে ব্যবহার করুন শিটমাস্ক।
অন্তত এক সপ্তাহ এই রুটিন মেনে চলুন। তারপর ক্লিনজিং-টোনিং-ময়শ্চারাইজিংয়ের মতো বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলবেন। ত্বক সব সময় ভালো থাকবে।