ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই শ্বাসযন্ত্রটির প্রধান কাজ হলো বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ হতে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা।
হার্ট, কিডনি এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো ফুসফুসের বয়সও সময়ের সঙ্গে বেড়ে যায়। বয়স বাড়লে ফুসফুস তার শক্তি এবং নমনীয়তা দুটিই হারায়। এর ফলে শ্বাস নেওয়া আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে।
কিন্তু প্রায়ই আমরা এসব সমস্যা এড়িয়ে যাই। ছোট ছোট সমস্যাগুলো জটিল কোনো রোগ ধারণ না করা পর্যন্ত আমরা সেগুলোর প্রতি নজর দেই না। ফুসফুসের ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি পরিমাণে ঘটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুসে কোনো সমস্যা হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে সেটি ধরা পড়ে না। ফলস্বরূপ অসুখ গুরুতর হয়ে ওঠে আর শেষে তা হাতের নাগালে চলে যায়। তবে এমন কয়েকটি লক্ষণ আছে, যা ফুসফুসের সমস্যা জটিল হওয়ার আগেই আপনাকে সাবধান করতে পারে।
বুকে ব্যথা
অনেকেরই বুকের ব্যথার সমস্যা থাকে। আপনার যদি এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে বুকে ব্যথা থাকে, বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময় বা কাশির সময় ব্যথা আরও তীব্র হয়, তবে ফুসফুসের জটিল কোনো রোগেরই সংকেত। এমনটা হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।
দীর্ঘস্থায়ী সর্দি
শ্লেষ্মা যাকে থুতু বা কফও বলা হয়, সংক্রমণের সময় শ্বাসনালীতে তৈরী হয়। যদি এই শ্লেষ্মা এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে থাকে তবে এটিকে ফুসফুসের কোনো বড় সমস্যা হিসেবে ধরে নেওয়াই ভালো।
হঠাৎ ওজন কমতে থাকা
যদি কোনো ডায়েট বা ওয়ার্কআউট ছাড়াই আপনার ওজন হ্রাস পায়, তবে এটি আপনার শরীরের ভেতরে থাকা কোনো টিউমারের সংকেত হতে পারে। বা হতে পারে ফুসফুসের কোনো জটিল সমস্যার কারণ। তাই এমনটা দেখলে দ্রুত সাবধান হন।
শ্বাস-প্রশ্বাসে বদল
যদি শ্বাসকষ্টে ভোগেন তবে এটি ফুসফুসের রোগের লক্ষণ হতে পারে। টিউমার বা কার্সিনোমা থেকে ফুসফুসে তরল জমে বাতাস চলাচলে বাধা দেয়, যার ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। এমন কিছু হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিন।
কাশির সঙ্গে রক্ত
আট সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশির সঙ্গে রক্ত যদি বেরিয়ে আসে তবে এটি শ্বাসযন্ত্রের জটিল সমস্যার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পরে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সঙ্গে সাবধানতাও জরুরি।