শরীর গঠনে প্রোটিনের বিকল্প নেই। তবে খাবার ঠিকমতো হজম না হলে সঠিক পুষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়। অনেকের আবার প্রোটিনে হজম হতে অসুবিধা হয়। তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, কিছু নিয়ম মানলে এ সমস্যা সহজে সমাধান হবে।
খাবার চিবিয়ে খেলে পাচক রস বের হয়। সে রসই খাদ্য হজমে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খেলে খাবার পাকিয়ে যায়। সেই খাবার পাকস্থলি ও অন্ত্রে পৌঁছালে হজমের পাশাপাশি পুষ্টিগুণ শোষণে সুবিধা হয়।
‘বায়োমলিকিউলস’ নামে জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে হজমকারী উৎসেচক যেমন প্রোটিস প্রোটিনকে ভেঙে অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিণত করতে সাহায্য করে। শরীরে যদি নিজে থেকে পাচনকারী উৎসেচক তৈরি না হয় বা হজমে সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে আম, কলা, পেঁপের মতো ফল খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। এতে থাকা প্রাকৃতিক পাচক রস হজমে সাহায্য করে।
» শারীরের জন্য পানি দরকার। পর্যাপ্ত পানি খেলে হজমে সহায়ক পাচক রস সঠিকভাবে নিঃসৃত হয়। বিশেষত খাওয়ার আগে পানি খেলে, প্রোটিন-সহ সব খাদ্যই হজম ভালো হয়।
» অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যাক্টিরিয়াও থাকে। ভালো ব্যাক্টিরিয়া হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে, শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। টক দই খেলে শরীরে ভালো ব্যাক্টিরিয়া প্রবেশ করে। ইয়োগার্ট, পেঁয়াজ, রসুন শরীর পক্ষে ভালো প্রো-বায়োটিক সরবরাহে সাহায্য করে।
» অবসাদ, উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা অম্বল, গ্যাস, বদহজমের অন্যতম কারণ। মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে হজম নিয়ে সমস্যাও কম হয়। বেশি তেল ঝাল মশলাদার খাবার বাদ দিলে, শরীরচর্চা করলে, উদ্বেগ না থাকলে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়।
সতর্কতা- উল্লেখিত তথ্যগুলো পরামর্শস্বরূপ। দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও নিয়ম মেনে চলুন।