শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান অংশ হলো ব্রেইন বা মস্তিষ্ক। এটিই পুরো শরীরের কার্যক্রমকে সচল রাখে। তাই মস্তিষ্কের সুরক্ষা নিশ্চিতে সবারই সচেতন হওয়া জরুরী। কিন্তু অনেকে নিজের অজান্তেই মস্তিষ্ক বা ব্রেইনের ক্ষতি করে চলেছেন প্রতিনিয়ত, তা কি আপনি জানেন?
যদি আমাদের শরীরকে একটি মেশিনের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে হার্ট হচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন আর ব্রেইন হচ্ছে সেই গাড়ির ড্রাইভার। এই অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতি ডেকে আনি যখন আমরা তাড়াহুড়োয় আমাদের সকালের নাশতা বাদ দিয়ে দেই। এতে আমাদের দেহে সুগার লেভেল নীচে নেমে যায় যা চিকিৎসা শাস্ত্রে হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামে পরিচিত।
আমাদের আরও কিছু বদঅভ্যাস আছে। এগুলো হলো বেশি খাওয়া, খাবারে চিনি ও লবন বেশি পরিমাণে থাকা, অনিদ্রা, বেশি রাত করে জেগে থাকা, মুখ ঢেকে ঘুমানো, দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খাওয়া, ধুমপান ইত্যাদি।
দৈনন্দিনের এই অভ্যাসগুলো আপাত দৃষ্টিতে খুব স্বাভাবিক মনে হলেও এগুলোই মস্তিষ্কের উপর নিদারুণ ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে নীরবে।
পাশাপাশি ডায়েট লিস্টে নিয়মিত রাখছেন ব্রেইনের জন্য মারাত্মক কিছু খাবার। এগুলো হলো টুনা মাছ, সয়া বড়ি, সয়াসস, টফু, অ্যালকোহল, সাদা চাল, সাদা আটা, কমলার জুস ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত টুনা মাছ খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়। সয়ার উচ্চ মাত্রার লবণ এবং সোডিয়াম মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা থেকে হাইপারটেনশন হতে পারে। মস্তিষ্কে রক্তচাপ কমে যায়। অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কোষগুলো দুর্বল করে তোলে।
এছাড়া সাদা আটা ও চালের অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটের মাত্রায় আপনি মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। কমলার জুসে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদে এই অবস্থায় আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা হারাতে পারেন।
তাই চেষ্টা করুন, নিয়মিত ডায়েট লিস্টে মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে।