অধূমপায়ীদের কি ফুসফুসের রোগ হয়?

0
82
অধূমপায়ী
ছবি: সংগৃহীত

ধূমপান যে কারো জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে ধূমপানে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় ফুসফুসের। অনেক সময় পরোক্ষ ধূমপায়ীদেরও এই সমস্যা দেখা দেয়।

অধূমপায়ীদের ফুসফুসের রোগ হয় কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

তামাকের ধোঁয়ায় চার হাজারের বেশি উপাদান থাকে। এগুলোর মধ্যে যেসব কণা রয়েছে তা হল- আলকাতরা, নিকোটিন, বেনজিন ও বেনজোপাইরিন। আর গ্যাসীয় উপাদানগুলো রয়েছে কার্বন মনোক্সাইড, অ্যামোনিয়া, ডাই-মিথাইল নাইট্রোস অ্যামাইন, ফরমালডিহাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ও অ্যাক্রোলিন।

তামাকের ধোঁয়ায় অন্তত ৬০ রকমের উপাদান রয়েছে, যেগুলো ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। শ্বাসনালির জন্য উত্তেজক যে কত উপাদান রয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। ধূমপানরত ব্যক্তির বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি গ্রহণ করলে সেটাকে পরোক্ষ ধূমপান বলা হয়।

এটা দু’ভাবে আসতে পারে, ধূমপানরত ব্যক্তির জ্বলন্ত বিড়ি কিংবা সিগারেটের পাশ থেকে নির্গত ধোঁয়া কিংবা ধূমপায়ী ধোঁয়া গ্রহণের পর নিঃশ্বাসের সঙ্গে পরিত্যক্ত ধোঁয়া। ৩০ মিনিট পরোক্ষ ধূমপান করলে হৃৎপিণ্ডের মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ করার জন্য তা যথেষ্ট। হাঁপানির রোগীর হাঁপানির প্রকোপ বাড়ানোর জন্য পরোক্ষ ধূমপান বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের ফলে হৃদরোগ এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। আর কর্মস্থল এবং পথেঘাটে পরোক্ষ ধূমপানের ফলে হৃদরোগের হার বেড়ে যায় ৫০-৬০ শতাংশ। অধূমপায়ীদের ফুসফুসের ক্যান্সার এবং হৃদরোগের কারণ পরোক্ষ ধূমপান।

ধূমপায়ী মা-বাবার শিশুদের মধ্যে শ্বাসনালির রোগব্যাধির প্রকোপ তুলনামূলকভাবে বেশি। উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখন আমাদের পরোক্ষ ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে।

ঘরের ভেতর ধূমপান করলে তা ধূমপায়ীর জন্য তো বটেই, সঙ্গে সঙ্গে তা তার পরিবারের অন্যদের, বিশেষত শিশুদের জন্যও ক্ষতিকর।