বাদাম অত্যন্ত পাওয়ারফুল ফলের মধ্যে অন্যতম ৷ তবে বাদামের থেকে কাঁচাবাদাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শরীরের জন্য৷ কেননা কাঁচাবাদামে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও ফাইবার প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ৷ যা শরীরের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে।
বিশেষত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এর ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহৃত হতে পারে ৷ কাঁচাবাদামের বেশ কয়েকটি প্রভাব রয়েছে।
কাঁচাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’ থাকে ৷ এ ছাড়া বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদানও রয়েছে ৷ ভিটামিন ই-তে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের একটি বিশেষ উপকারি দিক থাকে৷ কোষের মধ্যে সঞ্চালন হয়ে থাকে অত্যন্ত দ্রুত ৷ ফলে ব্রেন সংক্রান্ত নানা সমস্যা পাওয়া যায় ৷ অ্যালজাইমারসহ অন্যান্য রোগে কাজে দেয় এ ফল ৷
ডায়াবেটিসের জন্য কাঁচাবাদাম অত্যন্ত ভালো, কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে৷ ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কাজে লাগে৷ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এক চতুর্থাংশ ম্যাগনেশিয়ামের অভাব লক্ষণ করা যায়৷ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ৷
কাঁচাবাদাম খেলেই হাই ব্লাডপ্রেশারের সমস্যা দূর হয় অতি সহজেই ৷ কোলেস্টেরলের স্তরও কম হয়৷ কোলেস্টেরলের স্তর কম হলেই হাই ব্লাডপ্রেশারের স্তর কমে যায় ৷
কাঁচাবাদাম খাওয়ার সবচেয়ে বড় উপায় হলো, রাতভর পানিতে কাঁচাবাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে শরীর থাকে অত্যন্ত ভালো ৷ একই সঙ্গে ক্যালশিয়াম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হবে ৷ সবমিলিয়ে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কাঁচাবাদাম।