পিত্তথলিতে পাথর হলে বুঝবেন যে ৫ লক্ষণে

0
286

কর্মব্যস্ত জীবনে সঠিক সময়ে খাবার খেতে পারছেন না। তাহলে এখনই সতর্ক হতে হবে আপনাকে। কারণ আপনার এ অনিয়মই পিত্তথলি বা গলব্লাডারে পাথর তৈরি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে বা বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পিত্তরস ক্ষরণে বাধা তৈরি হয়। তখন সেই পিত্তরস পিত্তথলিতে জমে পাথর তৈরি করে।

কারণ

পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো-

১। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা।
২। শরীরে পানির ঘাটতি।
৩। বংশে এ রোগে কেউ আক্রান্ত থাকলে।
৪। ডায়াবেটিস রোগীরা এ রোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।
৫। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলেও হতে পারে পিত্তথলিতে পাথর।
৬। হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।

লক্ষণ

গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর হলে সাধারণত পেটের ওপরের অংশে ডান দিকে ব্যথা হয়। তবে এটি ছাড়াও আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে। যেমন-

১. এই অসুখের মূল লক্ষণ পেটের ডান দিকে ব্যথা, যা ছড়িয়ে পড়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত। পেটের ওপরের অংশে ডান দিকে ব্যথা হলে সাবধান হন, খেয়াল করুন সেই ব্যথার বিস্তার। ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়ালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

২. এই অসুখে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। পেটে ব্যথার সঙ্গে এমন জ্বর এলে সতর্ক হন।

৩. একটু ভারি খাওয়া-দাওয়া, বিশেষ করে মাংস ও তেলজাতীয় কিছু খেলে ব্যথা বাড়ে, সঙ্গে বমি হয় ঘন ঘন।

৪. অনেক সময় এই অসুখে আক্রান্তরা হেপাটাইটিসের (জন্ডিস) শিকার হন। তাই পেটে ব্যথার সঙ্গে হেপাটাইটিস দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যান।

৫. প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ কিংবা গাঢ় খয়েরি রঙের হলে তা হতে পারে পিত্তথলিতে পাথর জমার ইঙ্গিত।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে ডায়েটে লো ক্যালোরির সুষম খাবার ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। লবণ, চিনি ও কফিযুক্ত খাবার বাদ দিন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। মানসিক চাপ মুক্ত থাকার ও পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

গলব্লাডারে পাথর হলে অপারেশন ছাড়া কোনো গতি নেই। অপারেশন করে পাথর অপসারণের পর অপারেশন-পরবর্তী জীবনেও রোগীকে খাবারে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়।