বাচ্চা থেকে বুড়ো যে কারোরই হতে পারে পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমা। হঠাৎ হঠাৎ তৈরি হওয়া এই ফুসকুড়িগুলো গোলাপি থেকে গাঢ় লাল রঙের হতে পারে। কয়েক মিলিমিটার থেকে আধ ইঞ্চি পর্যন্ত বড়ও হতে পারে একেকটি ফুসকুড়ি।
ব্যথা-জ্বালা হয় না। সময়ের সঙ্গে এক ধরনের সাদা আস্তরণ পড়তে পারে ফুসকুড়িগুলোর ওপরে। পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে লবিউলার ক্যাপিলারি হেমানজিওমা বলা হয়। দুটো নামই প্রচলিত।
এটি সাধারণত মুখে, ঠোঁটে, হাত বা পায়ের আঙুলে দেখা দেয়। পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমা ছোঁয়াচে নয়। অন্য কোনো রোগের ইঙ্গিতও নয়। তবে এটি খোঁটাখুঁটি করতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা। ঠিক কী কারণে এগুলো দেখা দেয়, তা একেবারে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার কারণে কোথাও আঘাত লাগলে বা কোনও বিশেষ অবস্থায় (যেমন গর্ভাবস্থা বা কোনও বিশেষ ওষুধের প্রভাবে) এই বাম্প হতে পারে। অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলো হলো—
• গর্ভনিরোধক বা অন্য কোনও ওষুধের ফলে শরীরে হরমোনের মাত্রায় বদল এলে।
• এইচআইভি, ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের ফলে।
• রেটিনয়েড নামে এক ধরনের ভিটামিন-এ কম্পাউন্ডের ব্যবহারে।
যে কারণেই হোক এই পায়োজেনিক গ্র্যানুলোমা যদি নিজে থাকে না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।