চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান বলেছেন, মৃগী রোগের চিকিৎসায় ঝাড়-ফুঁক নয়, সাধারণ রোগের মতো সঠিক চিকিৎসায় মৃগী রোগীও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃগী রোগের উপসর্গ অন্য কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। তাই পরিবারের কারও মৃগী রোগের উপসর্গ দেখা দিলে বৈদ্য কিংবা কবিরাজের অপচিকিৎসা না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। মৃগী রোগের জন্য বৈদ্য-কবিরাজদের ঝাড় ফুঁকের মত অপচিকিৎসার আশ্রয় না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসতে হবে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চমেক নিউরো মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে নিউ কনফারেন্স হলে আন্তর্জাতিক মৃগী রোগ দিবসে ‘মৃগী রোগের প্রচলিত ধারণা এবং বাস্তবতা’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন। চমেকের নিউরোলজি বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
চমেক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, চমেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনোয়ার উল হক শামীম, নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকডা. মুহিতুল ইসলাম, ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. পঞ্চানন দাশ, ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, ডা. মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দীন, কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার প্রমুখ। সেমিনার শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা চমেক হাসপাতালের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউরোলজি বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।
অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মৃগী রোগ নিয়ে সমাজে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কেবল রোগের ইতিহাস ও খিঁচুনির ভিডিও দেখে কোনো রকম দামি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ৯০ শতাংশ রোগী ওষুধ খেয়ে ভালো থাকে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ২ থেকে ৫ বছর ওষুধ খেয়ে রোগ মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। এছাড়া মৃগীরোগে আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের আগে ও গর্ভকালীন সময়ে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে সুস্থ থাকতে পারবে এবং সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে পারবে।