কালার ডপলার পদ্ধতিতে শব্দতরঙ্গকে বিভিন্ন রঙে পরিবর্তন করতে একটি কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, যা রিয়েল টাইমে রক্তপ্রবাহের গতি ও দিক দেখায়।
কালার ডপলারের ক্লিনিক্যাল ব্যবহার সম্পর্কে বলেছেন আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও ঢাকার ল্যাব এইডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুল ইমাম হোসেন।
প্রেগন্যান্সিতে এর ব্যবহার সর্বাধিক এবং যত আধুনিক প্রযুক্ত বের হচ্ছে, সফটওয়্যার বের হচ্ছে, সবগুলো প্রেগন্যান্সিকে বেইজ করে বের হচ্ছে। আমরা জানি যে একজন মা গর্ভবতী হলে ক্লিনিশিয়ান তাঁকে আলট্রাসনো করতে পাঠান, সেটা হলো রুটিন আলট্রাসনোগ্রাফি, বাচ্চাটা কী অবস্থায় আছে, কেমন আছে ইত্যাদি। কিন্তু তার পরে পাঠান এনোমেলিক, শারীরিক, জন্মগত কোনও ত্রুটি আছে কি না। তার পরে পাঠান কালার ডপলার করার জন্য। কালার ডপলার হলো হাই লেভেল ইনভেস্টিগেশন। খুব রুটিন লেভেলে এটা পড়বে না। ক্লিনিশিয়ান এটা ঠিক করবেন। মায়েদের লক্ষণ শুনেই তো ক্লিনিশিয়ান ঠিক করবেন যে আসলে কালার ডপলার করতে হবে কি হবে না।
ডা. মাহবুবুল ইমাম হোসেন যুক্ত করেন, অনেক সময় মা অভিযোগ করেন বাচ্চার গ্রোথ হচ্ছে না। মনে হলো বাচ্চাটার মনে হয় গ্রোথ হচ্ছে না, আমার ওজন বাড়ছে না। এটা এক। দুই নম্বর হলো, মনে হলো যে বাচ্চাটা কম নড়ছে। এই দুটো সমস্যা নিয়ে যখন ডাক্তারের কাছে যান, সাধারণত ডাক্তারেরা কালার ডপলার করার জন্য পাঠান যে বাচ্চার অক্সিজেন সাপ্লাই ঠিক আছে কি না।
অক্সিজেন সাপ্লাই দেখার জন্য এই কালার ডপলার। একটু আগেই আমি বলেছি, কালার ডপলার মানে ব্লাড ফ্লো দেখা। তার মানে আমাদের অক্সিজেন যাচ্ছে তো ব্লাড দিয়ে। সুতরাং ব্লাড যদি পর্যাপ্ত সাপ্লাই না হয়, তাহলে এ লক্ষণগুলোর সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং প্রথম ইন্ডিকেশন হলো বাচ্চার গ্রোথ এবং বাচ্চা নড়ছে না।