ওজন কমানোর জন্য ডায়েট শুরু করলেই প্রথমে বাদ দেওয়া হয় ভাত ও রুটি। এই দুই খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা ওজন বাড়িয়ে তোলে। পাশপাশি আরও নানা সমস্যা ডেকে আনে। কিন্তু ডায়েট থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দিতে নেই কার্বোহাইড্রেট। কাজ করার এনার্জি বা শক্তি জোগায় কার্বোহাইড্রেট।
ভাত-রুটি না খেলেও এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো স্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে। আর রয়েছে এমন বেশি কিছু উপাদান যা আদতে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কার্বোহাইড্রেট আছে বলে সেগুলো যদি না খান, আপনারই লস। বরং, এই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারগুলো খেয়েও ওজন কমাতে পারবেন।
মিষ্টি আলু: ওয়েট লস ডায়েট কিংবা ডায়াবেটিসের ডায়েট থেকে অনেকেই আলুকে বাদ দেন। কিন্তু মিষ্টি আলু খেতেই পারেন। আধ কাপ মিষ্টি আলুর মধ্যে প্রায় ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এছাড়া, এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।
কলা: একটা পাকা কলায় ৩১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। আবার কলার মধ্যে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিও রয়েছে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ফল পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখতে এবং শরীরে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে।
বিট: সবজির মধ্যেও কার্বোহাইড্রেট থাকে। তা বলে নিশ্চয়ই সবজি খাওয়া বন্ধ করে দেবেন? বিটের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এক কাপ বিটে প্রায় ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। তবে, এই সবজি ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্তাল্পতার মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় বিট।
কিনোয়া: ওজন কমানোর ডায়েটে আজকাল অনেকেই কিনোয়া রাখেন। জানেন কি এই খাবারের ৭০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে? তবে, এই দানাশস্যতে কোনও গ্লুটেন নেই। তাই ভাত-রুটি না খেলেও কিনোয়া খেতে পারেন।
ওটস: মেদ ঝরাতে গিয়ে ডায়েট থেকে ওটস বাদ দেওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না কেউ। ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ ওটস। অথচ, ওটসের মধ্যেও প্রায় ৭০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এই কার্বোহাইড্রেট শরীরে কাজ করার এনার্জি জোগায়। আর ওটসে থাকা বাকি উপাদান স্বাস্থ্যের দেখভাল করে।