বাইরে প্রচণ্ড গরমের তাপদাহ। রোদের প্রখরতায় সবাই অসুস্থ হচ্ছে। পানি খাওয়ার প্রবণতাও যেন ঠিকঠাক নিয়মে নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাভাবিক নিয়মের থেকে এসময় একটু বেশি পানি পান করতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউ যদি সবসময় নিজের সাথে পানির বোতল বহন করেন তাহলে অভ্যাসবশত দেখা যায় তিনি তার শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি পান করছেন।
এছাড়া পানি পান নিয়েও মানুষের মধ্যে নানা ধরনের তথ্য রয়েছে। যেমন: প্রতিদিন বেশি বেশি পান করা সুস্বাস্থ্য, শক্তি এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার গোপন রহস্য, বেশি বেশি পানি খেলে ওজন কমবে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
বিবিসি বাংলার তথ্য মতে জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের ইউএস ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বোর্ড প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ক্যালোরি খাবারের জন্য এক মিলিলিটার তরল খাওয়ার পরামর্শ দেয়। অর্থাৎ কেউ যদি দৈনিক ২০০০-ক্যালরি ডায়েট করে তাহলে দুই হাজার মিলিলিটার অর্থাৎ দুই লিটার পানি খেতে হবে।
দিনে পানি পান করার পরিমাণ-
১. প্রতিদিন আট গ্লাস বা প্রায় দুই লিটার পানি পান করলে আমাদের শরীর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আর্দ্র থাকে, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে।
২. আপনার প্রতিদিন দেড় লিটার থেকে এক লিটার আটশ মিলিলিটার পানি পান করা উচিত। অর্থাৎ ছয় গ্লাস থেকে সাত গ্লাস কিংবা তার সামান্য কিছু বেশি। তবে এই পানি গ্রহণের পরিমাণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হবে।
৩. যারা গরম এবং আর্দ্র পরিবেশে এবং উঁচু কোথাও বাস করেন, সেইসাথে ক্রীড়াবিদ এবং গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো নারীরা অন্যদের তুলনায় বেশি পানি পান করবেন, বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. ১৯৭৪ সালে, পুষ্টিবিদ মার্গারেট ম্যাকউইলিয়ামস এবং ফ্রেডেরিক স্টেয়ারের মতে, প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করে। তবে, এর মধ্যে ফল এবং সবজিতে থাকা পানি, ক্যাফিনযুক্ত এবং কোমল পানীয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
৫. ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিকভাবে আর্দ্র থাকলে বার্ধক্যের ছাপও দেরিতে পড়ে। হৃদরোগ এবং ফুসফুসের রোগ এড়ানো যায়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পানি পান ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ভার্জিনিয়ায় এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বেলার খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে ৫০০ মিলিলিটার বা দুই গ্লাসের মতো পানি পান করলে ওজন কমে।