দিনে দিনে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকিতে রয়েছে ছোটবড় সবাই। গরম পড়লেই স্ট্রোকে হঠাৎ মৃত্যুর এক একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তোলে। এতে আমরা কিছুদিনের জন্য সচেতন হয়ে উঠি ঠিকই, তবে আবার সব ভুলে গিয়ে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন শুরু করে দিই। কিন্তু গরম পড়লে সবাইকে বাড়তি সচেতন হতে হবে।
তীব্র গরমে আপনি হাঁসফাঁস করছেন। অস্বস্তি হচ্ছে বেশ। তবে আপনি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে আছেন কিনা দেখে নিন এক নজর-
১. হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এই অসহনীয় মাথাব্যথা একটি বড় লক্ষণ।
২. হিটস্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে।
৩. হিট স্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হবে।
৪. শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারি শ্বাস-প্রশ্বাসও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ।
৫. মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
৬. অতিরিক্ত তাপের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে পারে।
৭. হিট স্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো পেশি ব্যথা। যদিও সাধারণ ব্যথা ভেবে মানুষ এটা গুরুত্ব দেয় না।
৮. শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলেন, হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। রোদে থাকতে হলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নিন বা গোসল করুন।