অনেক মানুষ তাদের পোষা প্রাণীকে খুব ভালবাসে। পোষা প্রাণীর সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্যের মতোও আচরণ করেন অনেকে। পোষা প্রাণীগুলো অনেক সময় সব রকম আচরণের মানে বোঝেন। কিছু মানুষ আছে যারা তাদের পোষা প্রাণীকে ভালোবাসার সঙ্গে চুম্বন করে। এখন প্রশ্ন জাগে আপনার পোষা প্রাণীকে চুম্বন করা বা তাদের তুলতুলে শরীরের সংস্পর্শে আসা কি নিরাপদ?
আপনার পোষা প্রাণীকে চুম্বন একটি বড় ব্যাপার নয়, আপনার মুখ সুস্থ থাকলে আপনি আপনার পোষা প্রাণীকে চুম্বন করতে পারেন। কিন্তু কিছু বিষয় আছে যেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। কারণ এসব উপেক্ষা করলে মারাত্মক কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
মানুষ ও কুকুর উভয়ের মুখেই হাজার হাজার ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা আমাদের শরীর অসুস্থ করে তুলতে পারে। পোষা প্রাণীকে চুম্বন করা বিপজ্জনক হলে, আমরা সবসময় অসুস্থ থাকতাম। কিন্তু তা হয় না। কারণ সাধারণত কুকুরের মুখের ব্যাকটেরিয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। যাই হোক, এর অর্থ এই নয় যে কুকুরকে চুম্বন করা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
কখন পোষা প্রাণীকে চুমু খাবেন না?
আপনার পোষা প্রাণীর মুখ ‘টয়লেট সিটের চেয়ে পরিষ্কার’— এই পুরানো কথাটিকে অনেক লোক সত্যি বলে মনে রাখে। এই কথাটিও অনেক ক্ষেত্রে ভুল প্রমাণিত হতে পারে। কারণ অনেক কুকুরের দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি খুবই খারাপ। এ ধরনের কুকুরকে চুম্বন করলে প্লাক তৈরি হতে পারে এবং মাড়ির রোগ হতে পারে। এর সাহায্যে মুখের ব্যাকটেরিয়াও দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই দাঁতের রোগে আক্রান্ত পোষা প্রাণীদের কখনোই চুম্বন করা উচিত নয়।
মানুষ থেকে পোষা প্রাণীতেও ছড়াতে পারে রোগ!
আরও কিছু সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া, যেমন ই.কোলি, সালমোনেলা ও স্ট্যাফাইলোকক্কাস উদ্বেগের কারণ। এ সমস্ত ব্যাকটেরিয়া আপনার পোষা প্রাণীর মধ্যে উপস্থিত হতে পারে, যা হয় গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টি করবে বা এক্সপোজারের পরে কোনো উপসর্গ থাকবে না। দাদ হলো একটি ছত্রাক সংক্রমণ, যা সহজেই বিড়াল থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।
শুধু তাই নয়, কিছু রোগ মানুষ থেকে পোষা প্রাণীতেও প্রবেশ করতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, করোন ভাইরাসটি মানুষ থেকে পোষা প্রাণী, বিশেষ করে বিড়াল যারা তাদের মালিকদের সঙ্গে বিছানায় ঘুমায় তাদের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে।