কিডনিতে সমস্যা হলে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এতে প্রায়ই জ্বর আসে। এ ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ ধীরে ধীরে কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করে। প্রথমদিকে এর কোনো লক্ষণ না থাকলেও পরে বিরাট আকার ধারণ করে।
সুস্থ থাকতে প্রত্যেকের প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। এর মাধ্যমে আমাদের কিডনি সুস্থ থাকে। কিডনি বিকল হয়ে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ে। খাওয়া-দাওয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ কিছু সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধের ব্যবহারের কারণে কিডনিতে পাথর জমে।
এ রকম বিভিন্ন সমস্যা হলে আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। জেনে নিন আরও কী কী লক্ষণ দেখা দিলেই সতর্ক হবেন–
কিডনিতে পাথর জমলে পিঠের দিকে পাঁজরের দুপাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। ব্যথা যদি দীর্ঘদিন ধরে হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘনঘন তলপেটে যন্ত্রণাও কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘদিন এই ব্যথা হলে এড়িয়ে যাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময় কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হয়। এ ছাড়া প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত পর্যন্ত হতে পারে। তবে এটি ভয়ের কারণ, এ কারণে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কিছু খেলেই বমি-বমি ভাব, মাথা ঘোরাও কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে। এ সমস্যা প্রায়ই হলে সতর্ক হোন।
জ্বর হলেই সাধারণ ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাল সংক্রমণ ভেবে এড়িয়ে যাবে না। কিডনিতে পাথর জমলেও জ্বর হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে পেটে তীব্র যন্ত্রণা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন।