বর্তমানে মাইগ্রেন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রোগের মূল উপসর্গ হলো প্রচণ্ড মাথাব্যথা। সেই ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করা কখনো কখনো হয়ে যায় মুশকিল। খেতে হয় ওষুধ। তবে মাইগ্রেনের ব্যথায় ওষুধও অনেক সময় কাজ করে না। এ ক্ষেত্রে ওষুধ ছাড়াও ব্যথা কমানোর কিছু উপায় আছে।
মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে অনেকের মাথার শুধু একটি অংশ ব্যথা করে। অনেকের আবার সমগ্র মাথায় ব্যথা হয়। পুরো মাথা ব্যথা করা ব্যক্তিদের সমস্যা সব থেকে বেশি হয়।
মাইগ্রেনের সমস্যা কেন হয়, তা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চলছে। তবে এখনো মাইগ্রেনের নেপথ্যে কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং কোনো গন্ধ, কোনো খাবার, আলো, দুশ্চিন্তার মতো জিনিসগুলোতে মাইগ্রেন টিগার করে। শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা।
বিভিন্ন কারণেই আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সূর্যের প্রখর তাপ কিংবা টানা কম্পিউটার বা মোবাইলের সামনে বসে থাকা এর একটি কারণ হতে পারে। এ ছাড়াও ঘুম কম হওয়া, দুশ্চিন্তা, চোখের ক্লান্তি, সাইনাস প্রদাহ কিংবা মস্তিষ্কের রক্তনালিতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে মাথাব্যথা হতে পারে। অনেক সময় তীব্র মাথাব্যথার সঙ্গে বমি ভাব, চোখে যন্ত্রণা এমনকি মুখ ও চোয়ালেও ব্যথা দেখা যায়।
এ সমস্যা সমাধানে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন। ওষুধ খাওয়া ছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করতে পারেন–
১. আদার মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলেই এককাপ আদা চা খেয়ে ফেলুন। সমস্যা থাকবে দূরে। এক্ষেত্রে চাইলে আপনি কাঁচা আদাও রোজ সকালে খেতে পারেন।
২. এই ভেষজটি ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে মাইগ্রেনের সমস্যাতেও এই ভেষজ হয়ে উঠতে পারে দারুণ কার্যকরী। এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিন। তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।
৩. লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। এই উপাদান খুব সহজেই আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে পারে। এক্ষেত্রে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন বা লবঙ্গের পাওডার দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিন।
৪. মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে চাইলে ল্যাভেন্ডার তেল হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। এক্ষেত্রে এই তেলে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ এই সমস্যা কমায়। মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে এই তেলে নাক দিয়ে ১৫ মিনিট শ্বাস নিতে হবে। সমস্যা কমবে।
৫. মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে চাইলে ব্যায়াম করতেই হবে। ব্যায়াম অথবা ইয়োগা করলেও এই সমস্যা কাটবে।
৬. মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চেরি ফলের জুসও বেশ উপকারী। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। চেরি স্ট্রেস দূর করে, মাথাব্যথা কমায়।
৭. মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আরেকটি বিশেষ খাবার হচ্ছে মাশরুম। মাশরুমে ম্যাগনেশিয়াম ও রিবোফ্লোবিন থাকায় মাইগ্রেনের ব্যথা কমে।