অল্প সময়ে মেদ ঝরাতে শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রতিদিনের ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেন অনেকে। ফলে ভাত-রুটি, মিষ্টি, সবই বন্ধ। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে কার্বোহাইড্রেট না গেলে, তা শরীরে জন্য ভালো না-ও হতে পারে।
সমস্ত শারীরবৃত্তীয় পরিচালনার জন্য প্রতি দিন শরীরে নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের মতো জরুরি উপাদানগুলোর জোগান দিতেই হবে। বয়স এবং শারীরিক সুবিধা-অসুবিধা বুঝে ব্যক্তিবিশেষে প্রতি দিন ৬০ থেকে ১৩০ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া, হঠাৎ খাবারের তালিকায় এমন পরিবর্তন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেও মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।
• ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ধরে থাকে? ভেবে দেখুন শরীরে শর্করার অভাব হচ্ছে না তো? কারণ, মস্তিষ্ক তার সব কাজ পরিচালনা করার জন্য শর্করার ওপর নির্ভর করে। শুধু তা-ই নয়, শরীরে সেরেটোনিন হরমোন ক্ষরণেও সহায়তা করে কার্বোহাইড্রেট।
• যে কোনো কাজ করতে গেলে যে শক্তির খরচ হয়, তার বেশির ভাগই আসে কার্বোহাইড্রেট থেকে। কিন্তু খাবারের তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে, শরীর সেই পরিমাণ শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না। ফলে কায়িক পরিশ্রম করতে গেলে শরীর অতিরিক্ত দুর্বল লাগে।
• ডায়েট করা শুরু করলে অনেকেই প্রথম দিকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। তালিকা থেকে কার্ব এবং ফাইবারজাতীয় খাবার বাদ দেওয়ার ফলে এই সমস্যা হতেই পারে।
• কার্বোহাইড্রেট একেবারে ছেড়ে দিলে ঘন ঘন খিদে পায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্বোহাইড্রেট অপরিহার্য। কার্বোহাইড্রেটের অভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। এর ফলে গ্লুকোজের অন্যান্য উৎস যেমন চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার প্রতি টান বাড়ে।
• কার্বোহাইড্রেট খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে অনেক মহিলার ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়ে। শরীরে কার্বোহাইড্রেট না গেলে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। তাই ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে পড়ে।