আপনি কি বেশ কিছুদিন ধরে বাইরে খাচ্ছেন? আপনি কি আপনার ক্যালোরি গ্রহণের দিকে নজর রাখছেন না? হঠাৎ অনিয়ন্ত্রিত ওজন বৃদ্ধির চিন্তা কি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছে? এসবের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে প্রিয় পাঠক, আমাদের কাছে আপনার জন্য এর নিখুঁত সমাধান রয়েছে। এর জন্য আপনাকে আপনার প্রিয় সুস্বাদু খাবারগুলো উপভোগ করতে নিষেধ করবো না। পরিবর্তে, আপনি একটু সচেতন হতে পারেন এবং আপনার পরবর্তী কয়েকটি খাবার সাবধানে ভারসাম্যপূর্ণ করতে পারেন। খাবারে ভারসাম্য রাখতে পারাটাই জরুরি। ভারতীয় পুষ্টিবিদ রিচা গাঙ্গানি ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি টিপস শেয়ার করেছেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক-
১. রাতে হালকা খাবার খান
রাতে অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে চেষ্টা করুন। এটি সারারাত বিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যার ফলে পরের দিন সকালে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটের জন্য সহজ খাবার বাছাই করুন। রাতে মাঝারি হালকা ধরনের খাবার খান এবং এর আগে দুপুরের খাবারটা ভারী খেতে পারেন। এভাবেই ভারসাম্য বজায় থাকবে।
২. হালকা গরম পানি বা গ্রিন টি পান করুন
আমরা সবাই জানি যে হালকা গরম পানি হজমে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এদিকে গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে। তাই এ ধরনের পানীয় রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়।
৩. খাওয়ার পরে হাঁটুন
ভারী খাবারের পর সবসময় একটু হলেও হাঁটাহাঁটি করুন। হাঁটার অভ্যাস পেট ফাঁপার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে আপনি হালকা বোধ করবেন। সেইসঙ্গে এটি বিপাক এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যে সাহায্য করে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।
৪. ক্র্যাশ ডায়েট করার চেষ্টা করবেন না
একটু বেশি খাবার খেয়ে ফেললেও চিন্তিত হবেন না। এই অতিরিক্ত ক্যালোরি খাওয়ার কারণে নিজের বা আপনার শরীরের উপর কঠোর হবেন না। খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনাহারে থাকা বা ক্র্যাশ ডায়েটে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৫. খাবার এড়িয়ে যাবেন না
এটি আপনার নিজের জন্য সবচেয়ে খারাপ জিনিস। খাবার এড়িয়ে গেলে তার ফলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যেতে পারে। ওজন কমানোর জন্য খাবার না খেয়ে থাকা একটি অস্থায়ী সমাধান। এর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই কোনো বেলার খাবারই বাদ দেবেন না। স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিকল্পনা করার সময় বিচক্ষণ হোন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্বাস্থ্য উপভোগ করতে ধীর ও স্থির থাকুন।