ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত ও সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, এটি বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সবাইকে আবারও সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনার নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধে এবছর এক কোটি ২৫ লাখ মানুষকে এ টিকার চতুর্থ ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আর দুই বছরে আড়াই কোটি মানুষকে চতুর্থ ডোজ দেয়া হবে।
ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত ও সংক্রমণ বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এটি বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
এ সময় অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিকগুলো নিজেদেরই বন্ধ করতে হবে। নয়তো কঠিন পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি নিজেও লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালের ভুক্তভোগী। সুতরাং আমি কখনই এ বিষয়ে ছাড় দিব না। আপনারা (সাংবাদিক) জানেন, এরইমধ্যে আমি বলেছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে, তেমনি অনুমোদনবিহীন হাসপাতালের ব্যাপারেও ছাড় দেয়া হবে না।
এ সময় শিশু আয়ানের মৃত্যুর বিষয়েও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা তো হবেই।
তিনি আরও বলেন, শিশু আয়ানের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যতটুকু জানি আগামীকালই আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিবে। চিকিৎসায় যদি কোনো অবহেলা থাকে, তাহলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
এর আগে আয়ানের মৃত্যুর সুষ্ঠু বিচারের দাবিসহ চার দফা দাবি নিয়ে সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে আসেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আয়ানের বাবা তার মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর বলেন, অনিবন্ধিতদের নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং বন্ধের অভিযান শিগগিরই শুরু হবে।
তিনি বলেন, ইউনাইটেড হেলথ সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্স নিতেই হবে। সব মিলে প্রায় ৮ হাজার হাসপাতাল, ৯ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধিত রয়েছে। বড় হাসপাতাল বলে কোনো ছাড় কেউ পাবে না।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৫ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৭৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।