সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে ব্যাখ্যা করে বলার কিছু নেই। বয়স এবং শারীরিক সক্রিয়তা অনুযায়ী ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে লন্ডনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’-এর একটি গবেষণা জানাচ্ছে, বেশি ঘুমও কিন্তু একেবারেই ভালো নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমালে শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• রক্তে শর্করার বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে জীবনযাপনের ওপর। সারা দিনের খাওয়াদাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে বিপাকহারের ওপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনো রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না। তা ছাড়া শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা করা জরুরি। বেশি ঘুমালে সেই অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
• বেশি ঘুমালে দিনের অনেকটা সময় বিছানায় কেটে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, প্রতিদিন সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। শুধু তাই নয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমালে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে আরও অনেক রোগ। ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রয়োজনের বেশি ঘুমানো ঠিক নয়।
• বেশি ঘুমালে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওজন ধরে রাখতে অতিরিক্ত ঘুম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সব রোগও বাড়তে থাকে ঘুমের সঙ্গেই।
• সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব থাকে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলায় উঠলে আলস্য লাগে, শরীরে চনমনে ভাব থাকে না। কোনো কাজেই তেমন উৎসাহ পাওয়া যায় না। ঘুমাতে ইচ্ছা করলেও সকালের দিকে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করুন। দেখবেন সারা দিন বেশ ভালো কাটবে।