শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ হলো চোখ। একটা সময় ছিল যখন বয়স ৪০ পার হলেই চোখে ছানি পড়াসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিত। বর্তমানে এ সমস্যা অনকেটা কমে গেলেও আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে কম বয়সেও চোখের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বিশ্রাম পায় না চোখ। যতক্ষণ জেগে থাকা হয় তার চাপ চোখের উপরেই পড়ে বেশি। অফিসে ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ কাজ কিংবা বাসায় মোবাইল ফোন সবকিছুর চাপই পড়ে চোখের ওপর।
চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিনের কাজ শেষেও চোখের যত্ন নেয়া খুব কঠিন কিছু নয়। প্রাত্যহিক কিছু সাধারণ অভ্যাস থেকে বিরত থাকলেই চোখের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
চোখ ভালো রাখতে যা যা করবেন-
গরম পানিতে চোখ না ধোয়া: যতই ঠান্ডা পড়ুক না কেন গরম পানিতে চোখ ধোয়া যাবে না। গরম পানি ব্যবহার করা চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানান চিকিৎসকরা। শুধু গরম পানিই নয়, আগুনের তাপ, ধোয়া বা সূর্যের প্রখর তাপ থেকেও চোখ দুটো বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
চোখের পলক ফেলা: চোখের খুব সামনে কিছু চলে আসলে নিজে থেকেই চোখের পলক পড়ে যায়। কিন্তু টেলিভিশনে আকর্ষক কোনো দৃশ্য একটানা চলতে থাকলে চোখের পলক যেন পড়তেই চায় না। এ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। চোখের পলক না ফেলার এই অভ্যাস চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত আইড্রপ ব্যবহার না করা: অনেকেই মনে করেন বারবার আইড্রপ ব্যবহার করলেই বোধ হয় চোখ ভাল থাকে। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে কৃত্রিম, রাসায়নিক এই ড্রপগুলি ব্যবহার করলে চোখের উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।
ঘুমোনোর সময় মাস্ক ব্যবহার না করা: অনেকেরই ঘুমোনোর সময় মাস্ক ব্যবহার করার অভ্যাস আছে। চিকিৎসকরা জানান, চোখের চারপাশের অংশে বলিরেখা পড়ে খুব তাড়াতাড়ি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ঘুমানোর আগে চোখের নীচে মাস্ক পড়েন। রাসায়নিক দেয়া গরম এ মাস্কগুলি বলিরেখার সমস্যা সাময়িক ভাবে দূর করলেও আদতে চোখের ক্ষতিই করে বেশি।
চোখ কচলানো বন্ধ করা: অনেকের নিজের অজান্তেই চোখে হাত দেয়া বা চোখ কচলানোর অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু হাত যদি পরিষ্কার না হয় তখন হাতে লেগে থাকা ধুলা-বালি, জীবাণু সরাসরি চোখে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক চোখ থেকে অন্য চোখেও এ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগে না বলেও জানান চিকিৎসকরা।