শীতে পিঠের ব্যথায় করণীয়

0
112

পিঠের ব্যথায় কাবু হন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। অল্প বয়স থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত এ যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন প্রায়ই। শীতে এ সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এ থেকে বাঁচার উপায় কী জানেন?

তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে মানসিক পরিশ্রমই এখন সবার বেশি। যে কারণে এখন প্রায় সবারই বসে বসে কাজ করতে হয়। আর এ কারণেই বাড়ছে পিঠে ব্যথা রোগীর সংখ্যা।

প্রায়ই এ সমস্যায় ভুগলে ধরে নিতে পারেন আপনার লাইফস্টাইলে, বিশেষ করে অভ্যাসে বেশকিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এগুলো হলো:

১। টানা কোথাও দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না।

২। বসে কাজের সময় অন্তত ৩০ মিনিট পরপর উঠে দাঁড়ান এবং ১ মিনিট একটু হাঁটাচলা করুন।

৩। প্রতিদিন ভোরে ওঠার চেষ্টা করুন। ভোরের প্রাকৃতিক বাতাসে বুক ভরে নিশ্বাস নিন। ১০ মিনিট হাঁটুন। অনুশীলন করুন শবাসন, ভুজঙ্গাসন কিংবা বৃক্ষাসন।

৪। রাতে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। ঘুমানোর সময় মাথার নিচে বালিশ না নিয়ে সোজা হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৫। প্রায়ই পিঠের ব্যথায় কাতর হলে হালকা গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস করতে পারেন। পিঠে দিতে পারেন গরম কাপড়ের সেঁক।

৬। গরম ভাতের সঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস করুন আধা চামচ হলুদের গুঁড়া। কিংবা হালকা গরম দুধের সঙ্গে হলুদ খেতে পারেন। কেননা, আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিক উপাদান পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৭। সবশেষে পিঠের ব্যথা চটজলদি সারাতে রসুন ও কালোজিরা মেশানো সরিষা তেল পিঠে মালিশ করুন। এরপর হালকা করে নিন ফুট ম্যাসাজও। কারণ, পায়ের সঙ্গে মেরুদণ্ডের জয়েন্ট রয়েছে। তাই ব্যথা থেকে নিস্তার পেতে পায়ের তলায় আঙুলের ডগা দিয়ে কিছুক্ষণ মালিশ করতে পারেন। এতে পিঠের স্নায়ুতে রক্তপ্রবাহ উন্নত হবে, সেই সঙ্গে ব্যথাও কমবে।