দেশ থেকে অন্ধত্ব দূর করতে এবার ২ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) শিশুদের জন্য ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজধানীর মহাখালীর নিপসম সেন্টারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা খাওয়াতে কেউ যেন গুজবে কান না দেয়। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল একেবারেই নিরাপদ এবং অত্যন্ত উপকারি। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের অন্ধত্ব দূর করার পাশাপাশি বামনত্ব প্রতিরোধ করে। এই টিকা দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সব ধরনের মৃত্যুহার ২৪ শতাংশ কমায়। হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত কারণেও মৃত্যু রোধ করে।
টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্য বিষয়ে তিনি আরও বলেন, টিকাদানে আমাদের সফলতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। করোনার সময়েও বাংলাদেশ এক দিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বে আলোচিত হয়েছে। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে৷ এবার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আমরা ২ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টার্গেট করেছি। এজন্য আমাদের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিকাদান প্রক্রিয়ায় এবার ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস (নীল ও লাল রঙের ক্যাপসুল) খাওয়ানো হবে।