পিরিয়ডের কতক্ষণ পরে ন্যাপকিন বদলান?

0
149

পিরিয়ড একজন নারীর শরীরের অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি। পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি মাথায় রাখতে হবে। আর দরকার সময় মতো প্যাড পরিবর্তন করা। না হলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রতি ৪-৫ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। দেখে নিন, না হলে শরীরে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিউকোরিয়ার সমস্যা হতে পারে: সময়মতো প্যাড পরিবর্তন না করলে লিউকোরিয়ার সমস্যা বেশি হতে পারে। যোনি থেকে যে সাদা স্রাব বের হয় তাকেই লিউকোরিয়া বলে। এমনিতে এই নিয়ে বেশি চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে খুব বেশি হলে তা অবশ্যই তা উদ্বেগের।

র‍্যাশ-জ্বালাপোড়া হতে পারে: একই প্যাড দীর্ঘক্ষণ পরে থাকার কারণে ব়্যাশ ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। স্কিন ইনফেকশনের ফলে অসহ্য চুলকানিও হয়। তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় পরপর প্যাড বদলে ফেলুন, এমনকী মাসিকের শেষ দিনগুলিতেও।

ফাঙ্গাল সংক্রমণ হতে পারে: সময়ে সময়ে প্যাড পরিবর্তন না করলে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হবে। ফলে শুধু যোনি নয় তার আশেপাশেও ব়্যাশ হতে পারে। মাঝেমধ্যে পরিস্থিতি এমন হয় যে প্যাডও পরে থাকা যায় না জ্বালাপোড়ার কারণে।

মূত্রনালীর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে: সময়মতো প্যাড পরিবর্তন না করলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা মূত্রনালীর সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকে। আর এই ইউটিআই কিডনি, মূত্রাশয় এবং মূত্রনালী-সহ ইউরিনারি সিস্টেমের যে কোনও অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সমস্যার কারণে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, তলপেটে ব্যথা এবং যোনিতে খুব দুর্গন্ধ হতে পারে।

গন্ধ বের হতে পারে: মেন্সট্রুয়াল ব্লাড অনেক ক্ষণ স্যানিটারি ন্যাপকিনে থাকলে তা থেকে একটা গন্ধ বের হয়। আর এই গন্ধ বেশ কয়েকদিন যোনিতে থেকে যেতে পারে। তাই, অনেকক্ষণ ধরে একই প্যাড ভুলেও ব্যবহার করবেন না।